দু’ দিন রেফারি হিসাবে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন! শুক্রবার তাঁদের দেখা গেল অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির ভূমিকায়। পতাকা হাতে ঝাড়খণ্ড-মধ্যপ্রদেশ ম্যাচে লাইন্সম্যানের দায়িত্বে সামলাচ্ছেন কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে। শিলিগুড়িতে বি সি রায় ট্রফি জুনিয়র জাতীয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় ওই দুই মহিলা পরীক্ষা দিচ্ছেন জাতীয়স্তরের রেফারি হতে। এক জন মণিপুরের বাসিন্দা চিমচিম সেরটো, অন্য জন ওড়িশার উয়েনা ফার্নান্ডেজ। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ) সূত্রে জানা গিয়েছে, উভেনা বর্তমানে বাগডোগরা বায়ূসেনা ছাউনিতে কর্মরত। তিনি ক্যাপ্টেন পদে রয়েছেন। অন্য জন মণিপুর পুলিশে কনস্টেবল পদে কাজ করেন। |
কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ঝাড়খন্ড বনাম মধ্যপ্রদেশের খেলা পরিচালনায় মহিলা। ছবি তুলেছেন বিশ্বরূপ বসাক। |
খেলাধূলায় বিশেষত ফুটবলে উৎসাহী দু’ জনেই। এমনকী দেশের মহিলা ফুটবল দলের হয়ে প্রতিনিধিত্বও করেছেন উয়েনা। জাতীয়স্তরে ফুটবল খেলেছেন চিমচিমও। সেই কারণেই এ বার রেফারি হওয়ার ইচ্ছে। উভেনা বিবাহিত, স্বামীও সেনাবাহিনীতে কর্মরত। তাঁদের এক শিশুপুত্র রয়েছে। চিমচিম সেরটো অবশ্য এখনও বিয়ে করেননি। রেফারি হওয়ার শংসাপত্র পেতে সম্প্রতি কলকাতায় লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন দু’ জনেই। তাতে ভাল ফল করে পাস করেছেন তাঁরা। তার পরই ডাক পড়েছে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় ম্যাচ পরিচালনা করে দেখানোর। প্রথম দিন এসএসবি মাঠে চণ্ডীগড়-ঝাড়খণ্ড ম্যাচ এবং মধ্যপ্রদেশ তামিলনাড়ু ম্যাচ পরিচালনা করেন উয়েনা, চিমচিমরা। প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার পর, মৌখিক পরীক্ষাও রয়েছে। তা উত্তীর্ণ হলেই মিলবে জাতীয়স্তরে ফুটবল ম্যাচ পরিচালনা করতে ফিফা অনুমোদিত শংসাপত্র। বি সি রায় ট্রফির ম্যাচ কমিশনার মাধব জি সুবর্ণ বলেন, “দু’ জনেই মেধাবী। রেফারি হতে লিখিত পরীক্ষায় ভাল ফল করেছেন। মাঠে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষাতেও এখন পর্যন্ত তাদের ভূমিকা সন্তোষজনক। আশা করি তাঁরা শেষ পর্যন্ত সফল হবেন।” |