শুধু ভারতে নয়, বাংলার প্রিমিয়ার লিগ সকার সাড়া ফেলে দিয়েছে গোটা ফুটবল বিশ্বে। ফাবিও কানাভারো টুইট করে বলছেন, “ভারতের ফুটবলের উন্নতিতে সামান্য অংশ নিতে পারলে ভাল লাগবে।” রবার্ট পিরেস বিখ্যাত লেকিপ পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে জানাচ্ছেন, কেন তিনি ভারতে খেলতে রাজি হয়েছেন। তার মাঝে অনেক দেশের সাংবাদিকদের ফোন আসছে, উদ্যোক্তাদের কাছে। জানতে চাইছেন, ব্যাপারটা কী। মাইকেল আওয়েন এবং নিকোলাস আনেলকা-র মতো তারকাদের এজেন্টরা ফোন করেছেন। তাঁরা পরের বার টুর্নামেন্টে খেলতে আগ্রহী।
কেন এই প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে আগ্রহ ফুটবল বিশ্বে? এই প্রথম ফুটবলাররা নিলামে চড়ছেন। ক্রিকেটে যেটা হয়েছে, সেটাই ফুটবলে হচ্ছে। কিন্তু নিলামের ব্যাপারটা ফুটবল বিশ্ব দেখেনি কখনও। সিএমজি-র কর্ণধার ভাস্বর গোস্বামী বললেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মিডিয়ায়, নিলামই সাড়া ফেলেছে। অনেকে আসতে চাইছে।” মঙ্গলবার কলকাতায় নিলাম হবে কানাভারো, ক্রেস্পো, মোরিয়েন্তেস, পিরেস, সোরিন, ফাউলারদের।
প্রথম আইপিএলের সময় ধোনি, সৌরভ, সচিন, রাহুলদের চেন্নাই, কলকাতা, মুম্বই, বেঙ্গালুরুতে আগেই দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আইকনদের নিলাম হয়নি। তাঁরা পেতেন দলের সর্বোচ্চ মূল্যের ক্রিকেটারের থেকে বেশি টাকা। পিএলএসে কানাভারো, ক্রেস্পোদেরই নাম উঠবে নিলামে।
ইতিমধ্যেই ছয়টি দল কেনার জন্য প্রচুর নামী সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছে। ক্রিকেটার, অভিনেতারাও আছেন সে দলে। যা পরিস্থিতি, তাতে নিলামে এরনান ক্রেস্পো ও ফের্নান্দো মোরিয়েন্তেসের দামই সবচেয়ে বেশি ওঠার সম্ভাবনা। আরও স্পষ্ট করে বললে ক্রেস্পোর। যে ফুটবলাররা আসছেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে নামকরা কানাভারো। ছয় বছর আগের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালি দলের অধিনায়ক। কিন্তু ডিফেন্ডাররা বিশ্বের সর্বত্রই গুরুত্ব পান না। ক্রেস্পো, মোরিয়েন্তেস বিশ্বের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড। তাঁদের দিকেই তাকিয়ে থাকবেন মালিকরা।
ক্রেস্পোর বাড়তি সুবিধে, তিনি বড় ক্লাবে খেলার মধ্যে আছেন। এ বার ৩০ জুন পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে এক বছরের চুক্তি ছিল ইতালির পার্মার। তিনি সরকারি তালিকায় পার্মার সহকারী অধিনায়ক। সেখান থেকে তিনি আসছেন কলকাতায়। মোরিয়েন্তেস ২০১০-এর ৩১ অগস্ট ফ্রান্সের মার্সেইয়ে খেলে অবসর নেন। কানাভারো দুবাইয়ের আল আহলিতে খেলে অবসর নেন গত জুলাইয়ে। ইতালির একটি ছোট ক্লাবে খেলার কথা চলছিল। তার পরেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, বাংলায় খেলার। আর্সেনালে শোরগোল ফেলা ফরাসি রবার্ট পিরেস গত বছর মে মাসে অ্যাস্টন ভিলা থেকে সরে যান। তার পরে খেলেননি। সব মিলিয়ে তাই ক্রেস্পোর দিকেই বেশি নজর। |