ডন ব্র্যাডম্যানের শহরেও সচিনদের জন্য অপেক্ষা করছে ঘাস এবং বাউন্স।
অ্যাডিলেডের পিচ প্রস্তুতকারকের কথাকে যদি গুরুত্ব দিতে হয়, তা হলে কিন্তু বিপদ উঁকি মারছে ডন ব্র্যাডম্যানের শহরের ২২ গজে। সিঁদুরে মেঘে সবার আগে চিন্তার ভাঁজ ভারতের কোচ ডানকান ফ্লেচারের কপালে। কারণ অ্যাডিলেডে হার মানেই ইংল্যান্ড সফরের মতোই হোয়াইটওয়াশ। উদ্বিগ্ন ফ্লেচার ইতিমধ্যেই পিচের হাল-হকিকতের সন্ধান করেছেন পিচ প্রস্তুতকারক ড্যামিয়েন হফের কাছে।
|
হফের কথায়, “পিচে অনেক বেশি ঘাস থাকবে। বাউন্সও থাকবে প্রচুর। আগের অ্যাসেজ সিরিজে যেমন ছিল তেমনই।” একেবারে সে রকম পিচ হলে কিন্তু শিকারের সুযোগ থাকছে স্পিনারদেরও। ২০১০-এর ডিসেম্বরে ইংল্যান্ড সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল এক ইনিংস ও ৭১ রানে। যার প্রথম দিন জেমস অ্যান্ডারসনের পেসে ভেঙে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন অফস্পিনার গ্রেম সোয়ান।
সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে হফ বলেন, “প্রথম দিন তো অবশ্যই ফাস্ট বোলাররা সাহায্য পাবে। পরের দু’দিন কিন্তু এই পিচ ব্যাটিংয়ের জন্য একেবারে আদর্শ। আর শেষের দু’দিন বল লাফাবে বিভিন্ন উচ্চতায়।” অস্ট্রেলিয়া শিবির থেকে অবশ্য পছন্দের পিচের জন্য কোনও অনুরোধ আসেনি, বলে জানান তিনি। “আমায় কেউ কিছু বলেনি। সিরিজের স্কোরলাইনও আমাকে প্রভাবিত করেনি। আমি শুধু চেয়েছি, যত ভাল সম্ভব পিচ বানানো।” হফ জানান, অতিরিক্ত গরম থেকে পিচকে বাঁচাতেই নাকি ঘাসের বাড়তি আস্তরণ দিতে হয়েছে ২২ গজে।
এক বছর আগের সেই অ্যাসেজ হেরে চাকরি গিয়েছিল অস্ট্রেলীয় কোচ টিম নিয়েলসেনের। এখন তিনি মনে করছেন ক্লার্কের দলের টেস্টের এক নম্বর জায়গা ফিরে পেতে বড় জোর এক বছর সময় লাগবে। বর্তমান কোচ মিকি আর্থারের প্রশংসা করে নিয়েলসেন বলেছেন, “আমি নিশ্চিত, কোচ বদলটা ভালর দিকেই গেছে। নতুন ক্রিকেটারদের দলে জায়গা করে দেওয়ার চ্যালেঞ্জটা মিকি ঠিক মতো কাজে লাগিয়েছে।” ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার, এড কাওয়ান এবং পেসার--জেমস প্যাটিনসন, প্যাট কামিন্সের উদাহরণ টানেন তিনি।
এ দিকে, কাওয়ান মজে আছেন ৪-০ জয়ের স্বপ্নে। বলেন, “দারুণ একটা জয়ের সামনে আছি। বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা টিমকে ৪-০ হারানোর!” যিনি এখনও রিকি পন্টিংয়ের ব্যাটিংয়েই প্রেরণা খুঁজে পান। তাঁর ঘরের দেওয়ালে এখনও পন্টিংয়ের পোস্টার। |