এক সময়ের বিশ্ব টেনিসের দুই শাসক। আমেরিকা আর অস্ট্রেলিয়া। নতুন বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লামে আশা আর আশঙ্কায়। শুক্রবার জন ইসনার-ও লোপেজের কাছে হারায় অস্ট্রেলীয় ওপেনের মাত্র তৃতীয় রাউন্ডেই মার্কিন চ্যালেঞ্জ ফুরিয়ে গেল। রডিকের মতো তারকা আগেই বিদায় নিয়েছেন। অন্য দিকে, এ দিনই উনিশ বছরের অস্ট্রেলীয় তরুণ বার্নার্ড টমিচ মেলবোর্ন পার্কে প্রথম বার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে রড লেভারের দেশের সুমহান টেনিস ইতিহাসে নতুন আশার সঞ্চার করেছেন। পাঁচ সেটের ম্যারাথন লড়াইয়ে ডলগোপোলোভকে হারিয়ে স্টুটগার্ট-জাত বিশ্বের ৩৮ নম্বর টিনএজার টমিচ সামনে পাচ্ছেন ফেডেরারকে।
কিংবদন্তি সুইস তৃতীয় রাউন্ডে ৬ ফুট ১০ ইঞ্চির টেনিস-দৈত্য কার্লোভিচের ঘণ্টায় দুশো মাইলের বেশি গতির বুম-বুম সার্ভিস আর ‘কভারিং’ সামলে স্ট্রেট সেটে জেতার পর সাংবাদিকদের বলেন, “অফিসে একটা ভাল দিন গেল আমার। কয়েকটা শট আর পয়েন্ট একটু এ দিক-ও দিক হলেই ভালটা খারাপ দিন হয়ে উঠতে বেশিক্ষণ লাগত না।” ফেডেরারের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী নাদাল আবার চতুর্থ রাউন্ডে স্বদেশীয় লোপেজের মুখোমুখি হওয়ার পথে এ দিন গোটা ম্যাচে মাত্র আটটি গেম খুইয়ে জেতেন পুরুষ সিঙ্গলসের শেষ কোয়ালিফায়ার লুকাস লাক্কোর বিরুদ্ধে। যদিও বলেন, “কোনও ম্যাচই সহজ নয়। সব জয়ই কঠিন।” |
মেয়েদের এক নম্বর ওজনিয়াকি চতুর্থ রাউন্ড অবধি পৌঁছেছেন একটিও সেট না হারিয়ে। কিভিতোভা, শারাপোভা, আজারেঙ্কা-সহ ছ’জন প্রতিপক্ষের যে কেউ অস্ট্রেলীয় ওপেন চ্যাম্পিয়ন হলেই ওজনিয়াকিকে সরিয়ে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষাসন দখল করবেন। তবে ওজনিয়াকি বলছেন, “যা হওয়ার হবে। তবে প্রথম তিনটে ম্যাচে আমি অন্তত বোঝাতে পেরেছি এখনও এক নম্বরটা কে?” ওজনিয়াকির প্রেমিক, সুপারস্টার গল্ফার রোরি ম্যাকইলরয়-ও নাকি ডেনমার্কের তরুণীকে বড় মঞ্চে সফল হওয়ার অনেক পেপ-টক দিয়েছেন।
এ দিকে, ফেডেরারের মতোই ‘অফিসে ভাল দিন’ গেল মেলবোর্ন পার্কের চার ভারতীয়েরই। ডাবলসে পেজ ও তাঁর নতুন চেক সঙ্গী স্টেপানেক তৃতীয় রাউন্ডে পা রাখলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪তম ইতালীয় বাছাই বোলেল্লি-ফগনিনিকে ৬-২, ৭-৬ (৭-৫) হারিয়ে অবাছাই পেজরা পড়েছেন তৃতীয় বাছাই লদ্রা-জিমোনজিচের সামনে। মিক্সড ডাবলসে ২০০৯-এর চ্যাম্পিয়ন মহেশ-সানিয়া এবং বোপান্না ও তাঁর মার্কিন সঙ্গিনী লিজা রেমন্ড দুই জুড়িই পৌঁছে গিয়েছেন প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে। নিজের-নিজের ম্যাচ স্ট্রেট সেটে জিতে। |