খেলা
অপূর্ণ যোগ
ঝুলিতে সাফল্য এলেও মন ভরল না হাওড়ার। রয়ে গেল ক্ষোভও। বাংলার হয়ে দিল্লিতে জাতীয় স্কুল যোগাসনে অংশ নিতে গিয়েছিল হাওড়ার এক ঝাঁক ছেলেমেয়ে। বাংলার জুটল একটি সোনা, একটি রুপো ও পাঁচটি ব্রোঞ্জ। এর মধ্যে দু’টি ব্রোঞ্জ পদক হাওড়ার।
জাতীয় প্রতিযোগিতার জন্য বাংলার দল নির্বাচন করতে যোগাসনের আসর বসেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির প্রভাতকুমার কলেজে। হাওড়ার ন’জন বাংলা দলে নির্বাচিত হন। অনূর্ধ্ব ১৪ বালকদের দু’টি বিভাগে রাজ্য সেরা হয়ে জাতীয় যোগাসনে গিয়েছিল হাওড়া জেলা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র দেবব্রত ঘোষ। সাধারণ যোগাসন ছাড়া আর্টিস্টিক যোগাসনে অংশ নিলেও আশানুরূপ ফল হয়নি দেবব্রতর।
ভাগ্যশ্রী মাইতি
ত্রিদিব মুখোপাধ্যায়
রিদিমিক যোগাসনে অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগে রাজ্য সেরা হয়ে দিল্লি গিয়ে ভাল ফল হয়নি হাওড়া বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশনের ছাত্র অভিনন্দ জানারও। রাজ্য প্রতিযোগিতায় বালকদের অনূর্ধ্ব ১৭ বিভাগে তৃতীয় স্থান পেয়েছিল শিবপুর স্বামী প্রজ্ঞানন্দ সরস্বতী বিদ্যালয়ের ছাত্র ত্রিদিব মুখোপাধ্যায়। জাতীয় প্রতিযোগিতায় নেমে ত্রিদিব জিতেছে ব্রোঞ্জ।
আর্টিস্টিক যোগাসনে অনূর্ধ্ব ১৯ বিভাগে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল হাওড়ার হেরিটেজ অ্যাকাডেমির দশম শ্রেণির ছাত্রী ভাগ্যশ্রী মাইতি। বাকসাড়া উদয় সমিতিতে কোচ অরুণ দাসের কাছে যোগাসন শেখে বাগ্যশ্রী। জাতীয় প্রতিযোগিতায় তাকে ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
বাংলা থেকে ১৮ জন বালক এবং ১৮ জন বালিকা-সহ মোট ৩৬ জন প্রতিযোগী অনূর্ধ্ব ১৪, অনূর্ধ্ব ১৭ এবং অনূর্ধ্ব ১৯ বিভাগে জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এক মাত্র সোনাটি পেয়েছে বর্ধমানের মেয়ে জয়শ্রী পাত্র। ফলাফলে একেবারেই খুশি নয় বাংলার প্রতিযোগীরা। যেমন, ভাগ্যশ্রী বলল, “খারাপ করিনি। কিন্তু যে পয়েন্ট পেয়েছি তা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে।”
বাংলা দল নিয়ে জাতীয় প্রতিযোগিতায় গিয়েছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের শারীরশিক্ষকরা। যেমন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাওয়ালি হাইস্কুলের শিক্ষক শ্যামল মজুমদার। তিনি বলেন, “বিচার নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। আমি এ ব্যাপারে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দেব।”




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.