গত ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র অপহৃত কি না, তার তদন্ত শুরু করল পুলিশ। হাওড়ার দাশনগরে ওই ছাত্রের বাড়িতে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। পুলিশ জানায়, ৬ জানুয়ারি বিকেলে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে বাড়ি ফেরেনি বালিটিকুরির বাসিন্দা রাকেশ সাউ (১২)। পরে সাইকেলটি মেলে রামরাজাতলা স্টেশনের পাশে। পুলিশ জানায়, রাকেশের বাবা আশরফি সাউ টেম্পো চালান। বৃহস্পতিবার অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি ফোনে জানান, রাকেশ তাঁদের কব্জায়। ৬০০০ টাকা দিলে ছাড়া হবে। শুক্রবার ফোন করে কলকাতার ময়দানে একটি গাছের নীচে টাকা রাখতে বলা হয়। কিন্তু ঠিক কোথায় রাখতে হবে তা বলার আগেই ফোন কেটে যায়। আর ফোন আসেনি বলে পরিবার সূত্রে খবর। পুলিশকে এ দিনই তাঁরা বিষয়টি জানালে রাতে তদন্তে যায় হাওড়া সিটি পুলিশ। রাকেশের সন্ধান মেলেনি। অন্য দিকে, গাড়ি-ভাড়ার ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগে তাঁর গাড়িচালক-সহ ৫ জন গ্রেফতার হল। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে কুলতলি থেকে গাড়ি চালক সুকুমার হালদার-সহ বাকিদের ধরা হয়। যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) দময়ন্তী সেন জানান, পাটুলি থানা এলাকার বাসিন্দা অনিন্দ্য রায়চৌধুরী ১৬ ডিসেম্বর অপহৃত হন। অপহরণকারীরা তাঁর বাবার থেকে ৩ লক্ষ টাকা আদায় করে ১৮ ডিসেম্বর তাঁকে ছেড়ে দেয়।
|
হুগলির নগর এলাকা অর্থাৎ চন্দননগর বা শ্রীরামপুরের মতো এলাকাগুলিকেও আগামী দিনে কমিশনারেটের অধীনে আনার কথা চিন্তা-ভাবনা করছে রাজ্য প্রশাসন। শুক্রবার বিধাননগর এবং ব্যারাকপুর কমিশনারেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা জানান। পাশপাশি তিনি জানান, কর্পোরেশন করা হবে বিধাননগর পুরসভাকে। সঙ্গে যুক্ত হবে আশপাশের কিছু এলাকা। আর বিধাননগরের চেয়ারপার্সন পদটি হয়ে যাবে মেয়র। এই কাজ করতে অবশ্য ‘বেশ কিছুটা সময়’ লাগবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন লেকটাউনে কমিশনারেটের উদ্বোধনী মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,“আমরা একটা নতুন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছি। বিধাননগর এবং তার আশপাশের এলাকা নিয়ে বিধাননগর কর্পোরেশন হবে। এখানেও মেয়র পদমর্যাদা দেওয়া হবে। তাতে কেন্দ্রেরও প্রচুর প্রকল্প আসবে। এলাকার আরও উন্নতি হবে। কিন্তু এটা আজ বললেই কাল হয়ে যাবে না। পি সি সরকারের জাদু আমার জানা নেই। এর জন্য সময় লাগবে।” এ দিন মুখ্যমন্ত্রী আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের ওয়েবসাইটও উদ্বোধন করেন। বাকি সবক’টি কমিশনারেটেরই ওয়েবসাইট চালু করা হবে বলে জানান তিনি।
|
হোটেলে দেহব্যবসা, গ্রেফতার ৮ |
আরামবাগ, তারকেশ্বরের পরে এ বার বৈদ্যবাটির হোটেল থেকে আপত্তিজনক অবস্থায় তিন যুবক ও তিন তরুণীকে ধরল পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরেই হুগলি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে হোটেল ব্যবসার ক্ষেত্রে সরাসরি তরুণীদের নিয়ে আসর জমানোর অভিযোগ উঠছিল। বৈদ্যবাটি অবশ্য সেই তালিকায় ছিল না। এ বার মহিলাদের নিয়ে হোটেল ব্যবসার তালিকায় এই শহরের নামও যুক্ত হল। তিন খদ্দের ও তিন তরুণীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হোটেল মালিকের ভাই তথা ম্যানেজারকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। মালিক পলাতক। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ওই হোটেলে দেহব্যবসা চলছিল। হোটেলের রেজিস্ট্রার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, বৈদ্যবাটির ওই হোটেলটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের কাছে অভিযোগ আসছিল। এ নিয়ে তক্কে তক্কে ছিলেন পুলিশ অফিসাররা। হোটেলের দোতলায় বার রয়েছে। তিন তলার ঘরগুলিতে মহিলাদের নিয়ে ব্যবসা চলত। পুলিশ জানায়, ধৃত মহিলা এবং যুবকদের বাড়ি সিঙ্গুর, শ্রীরামপুর এবং হাওড়ায়। মালিকের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
|
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বসিরহাট থানারই কচুয়া দেশবন্ধু হাইস্কুলের তালা ভেঙে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে স্থানীয় গ্রামবাসীরা স্কুলের দরজার তালা ভাঙা দেখে অন্যদের খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা প্রধান শিক্ষক ও সহশিক্ষকদের ঘরে ঢুকে সমস্ত আলমারি তছনছ করে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীরা জরুরি কোনও নথিপত্রের খোঁজে এসেছিল। সে সব হাতিয়ে নিয়েই পালায় তারা। তবে কি কি নথিপত্র খোওয়া গিয়েছে তা তদন্ত না করে বলা যাবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
|
দৃষ্টিহীনদের স্কুলে ব্রেইল মেশিন |
উত্তরপাড়ার লুই ব্রেইল মেমোরিয়াল স্কুলে ব্রেইল মেশিন প্রদান করলেন স্থানীয় বিধায়ক অনুপ ঘোষাল। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে দৃষ্টিহীনদের ওই স্কুলের কর্তৃপক্ষের হাতে মেশিনটি তুলে দেন অনুপবাবু। প্রশাসন সূত্রের খবর, মেশিনটি জার্মানি থেকে আনা হয়েছে। অনুপবাবুর বিধায়ক কোটার আড়াই লক্ষ টাকায় দৃষ্টিহীনদের জন্য ওই শিক্ষা-সামগ্রী কেনা হয়েছে। এ দিন ওই স্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। স্কুলটিকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে অনুপবাবু জানান।
|
চাষি-আত্মহত্যা, মোকাবিলার দাবি |
রাজ্যজুড়ে কৃষকদের ‘আত্মহত্যার পরিস্থিতি’ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে হুগলিতে আন্দোলনে নামল সিপিআই (এম এল) লিবারেশন। ওই মর্মে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেয় তারা। লিবারেশনের হুগলি-চুঁচুড়া লোকাল কমিটি এ দিন সকালে জেলা সদর চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে অবস্থান করে। এর পরে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় মিছিল করেন আন্দোলনকারীরা। পরে পাঁচ দফা দাবি-সম্বলিত একটি স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয় অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সৃষ্টিধর সাঁতরার হাতে। |