সাবওয়ের দাবিতে রেলপথ নির্মাণের কাজ বন্ধ আরামবাগে
কটি সাবওয়ের দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরেই আরামবাগের তেঘড়ির বাসিন্দারা তাঁদের গ্রামে নির্মীয়মাণ তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। শুক্রবারেও সেই সমস্যা মিটল না। এ দিন ওই গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে যান পূর্ব রেলের ইঞ্জিনিয়ার এবং আরামবাগের বিডিও। যে এলাকায় গ্রামবাসীরা সাবওয়ে চাইছেন, সেই স্থানটিও তাঁরা পরিদর্শন করেন। কিন্তু কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। গ্রামবাসীরা তাঁদের দাবিতে অনড় ছিলেন।
বিডিও মৃণালকান্তি গুঁই বলেন, “সমস্যার সমাধান হয়নি। গ্রামবাসীরা তাঁদের দাবি থেকে সরছেন না। ফের তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।” ওই রেলপথ নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত পূর্ব রেলের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার পল্লব ফৌজদার বলেন, “গ্রামবাসীরা অন্যায় দাবি করে কাজ পিছিয়ে দিচ্ছেন। আগামী মার্চ মাসে তারকেশ্বরের তালপুর থেকে আরামবাগ পর্যন্ত রেল চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতি চললে, মনে হয় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা যাবে না।”
—নিজস্ব চিত্র।
গ্রামের যে জায়গা দিয়ে রেলপথটি নির্মাণের কথা, তার মধ্যে প্রায় ১২ ফুট অংশে মাসখানেক আগে একটি সাবওয়ে নির্মাণের দাবি তুলে কাজ বন্ধ করে দেন তেঘড়ি গ্রামের বাসিন্দারা। পরে আরামবাগের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার হস্তক্ষেপে কিছু দিনের জন্য কাজ শুরু হলেও দিন পনেরো ধরে সেই কাজ ফের বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
গ্রামবাসীদের পক্ষে জয়দেব দাস, শৈলেন দীর্ঘাঙ্গী, বাসুদেব দাস, সনাতন দে প্রমুখের অভিযোগ, রেলপথটি গ্রামের দক্ষিণ দিকের কিছু পরিবারকে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। পঞ্চায়েতের একটি কাঁচা রাস্তার মাধ্যমে ওই সব পরিবারগুলি গ্রামে যাতায়াত করেন। ওই রাস্তার জায়গায় একটি সাবওয়ের দাবি জানানো হয়েছে। পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে গ্রামবাসীরা যেখানে সাবওয়ে বা ‘বক্স ব্রিজ’-এর দাবি তুলেছেন, সেখান থেকে ৬৫ মিটার দূরে ইতিমধ্যেই একটি চওড়া ব্রিজ (৫১ নম্বর ব্রিজ) নির্মাণ করা হয়েছে। তা ছাড়া, গ্রামবাসীদের সুবিধার জন্য রেললাইনের পাশ দিয়ে ওই ব্রিজ পর্যন্ত ১০ ফুটের একটি পাকা রাস্তাও করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও, গ্রামবাসীরা তাঁদের দাবি থেকে সরছেন না। ওই ব্রিজের পরে ফের একটি সাবওয়ে করার যৌক্তিকতা নেই। কিন্তু গ্রামবাসীদের প্রশ্ন, কেন ৬৫ মিটার দূর দিয়ে তাঁদের ঘুরে যাতায়াত করতে হবে? তেঘড়ি গ্রামে ওই ৬৫ মিটার এলাকায় রেলপথ নির্মাণের কাজ স্তব্ধ হয়ে থাকলেও, অন্যত্র দ্রুত কাজ হচ্ছে। বিধায়ক জানান, সমস্যা মেটাতে ফের গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.