|
|
|
|
র্যাগিংয়ের অভিযোগ প্রেসিডেন্সির হস্টেলেও |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন এসএফআই-সমর্থকের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল। আইসি-র অভিযোগ, তাদের তিন সমর্থক র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন। তাঁদের নাম সজন দাওয়ান, নীলাব্জ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌমাল্য মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিন্দু হস্টেল এবং বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এফএফআই এবং আইসি-র মধ্যে চাপান-উতোর চলে। যে-তিন ছাত্র র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ, চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তিন জনকেই।
পুলিশ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পর্বের ছাত্র নীলাব্জের অভিযোগ, কয়েক দিন ধরে তাঁদের কিছু সমর্থকের উপর ‘মানসিক চাপ’ তৈরি করছে এসএফআই। বৃহস্পতিবার রাতে হস্টেলের দু’নম্বর ওয়ার্ডের মিটিংয়ে সজনদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত ছাত্রেরাও। সেখানে সজনদের ‘অপমানজনক’ কথা বলা হয় বলে অভিযোগ। সজন ঘরে ফিরে গিয়ে ‘অবসাদগ্রস্ত’ অবস্থায় জানলার কাচে ঘুষি মারেন। অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে জোড়াসাঁকো থানা। এসএফআই-এর ইউনিট সভাপতি কৌশিক রায় আইসি-র অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অভিযোগকারীদের দাবি, অভিযুক্ত ৩ ছাত্র পরে সজনকে চিঠি দিয়ে নিজেদের ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
র্যাগিংয়ের প্রতিবাদে হিন্দু হস্টেলের ২ ছাত্র পরীক্ষায় ভাল ফল করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া পুরস্কার ফিরিয়ে দেন। উপাচার্য মালবিকা সরকার বলেন, “ওই দুই ছাত্র অভিযোগকারীর বন্ধু। তাদের এই প্রতিবাদ কিছুটা স্বাভাবিক।” তিনি জানান, ঠিক কী ঘটেছিল, তা দেখার জন্য রেজিস্ট্রারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হস্টেল সুপারও একটি রিপোর্ট জমা দেবেন। উপাচার্য বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় বা হস্টেলে হিংসাত্মক ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না।” |
|
|
|
|
|