হার বিধায়কের গোষ্ঠীর
শ্রীশচন্দ্র কলেজে লড়াই তৃণমূল ছাত্রদের দু’দলে
লতে গেলে ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ! বিরোধী নেই। উত্তর কলকাতার একটি কলেজের ছাত্র সংসদের দখল নিতে লড়াই করল তৃণমূলেরই ছাত্র সংগঠনের দুই গোষ্ঠী। এক গোষ্ঠী আবার স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক শশী পাঁজা ও দলের ছাত্র সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শঙ্কু পণ্ডার ‘আশীর্বাদপুষ্ট’। অন্য গোষ্ঠী উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বাধীন। লড়াইতে অবশ্য শশী-শঙ্কুর গোষ্ঠী পরাজিত। সোজা কথায়, বিধায়কের গোষ্ঠীকে হারিয়ে দিয়েছে দলের ছাত্র সংগঠনের জেলা নেতৃত্বই। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার মহারাজা শ্রীশচন্দ্র কলেজে (শ্যামবাজারের মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের নৈশ বিভাগ)। এখানে ৫০টি আসনে মধ্যে সবক’টিতেই দু’পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছিল। ভোটে ৩৫টিতে জিতেছে জেলা নেতৃত্বের গোষ্ঠী। ১৫টিতে শশী-শঙ্কুর গোষ্ঠী। ফল বেরোনোর পরে শঙ্কু বলেন, “এটা ছোট্ট ব্যাপার! লড়াই হয়েছে আমাদের মধ্যেই। আর ছাত্র সংসদও রয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হাতেই।” তাঁর ‘বিরোধী’ বলে পরিচিত উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি অনিন্দ্য রাউতেরও বক্তব্য, “যা-ই হয়ে থাকুক, আমাদের সংগঠনের ছেলেরাই তো জিতেছে!”
ঘটনাটিকে অবশ্য ‘তুচ্ছ’ বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন না তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, “শ্রীশচন্দ্র কলেজের নিজেদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইতে এমন উত্তেজনা ছড়িয়েছিল, যে কলেজ এলাকায় বিরাট পুলিস বাহিনী মোতায়েন করতে হয়েছিল। এটা এলাকার মানুষের কাছে আমাদের দল সম্পর্কে ভাল ধারনা তৈরি করেনি।” শশীদেবীও মনে করেন, “ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক।” তবে তিনি কোনও গোষ্ঠীকে মদত দেন না দাবি করে শুক্রবার তৃণমূলের বিধায়ক শশীদেবী বলেন, “আমার পরিচিত কিছু ছাত্র এসেছিল। ওরা মনোনয়নের ব্যাপারে কয়েকজনের নাম অর্ন্তর্ভূক্ত করে দিতে বলেছিল। আমি ওদের শঙ্কু’দার সঙ্গে কথা বলতে বলেছিলাম। পরে জেনেছিলাম, ওখানে দু’পক্ষ নাম দিয়েছে। তখন আমি ওদের আলোচনা করে সর্বসম্মতভাবে একটা প্রার্থী তালিকা করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু ততক্ষণে নাম প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গিয়েছে।”
ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবারই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলনে বিধায়কদের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে অহেতুক প্রবেশ না-করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, ছাত্র সংসদের নির্বাচন রাজনৈতিক সংস্রব বন্ধে লিংডো কমিশনের নির্দেশ মেনে করানোর জন্য রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিতে চলেছে। এই প্রেক্ষাপটে শ্রীশচন্দ্র কলেজের ছাত্র সংসদের ভোটে বিধায়ক নিজেকে ‘জড়ানো’য় ক্ষুব্ধ দলের স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশ। ইতিমধ্যেই ঘটনাটি দলনেত্রীর কাছে জানিয়েছেন উত্তর কলকাতার এক বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.