বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে বন দফতরের খামখেয়ালিপনায় বিরক্ত পর্যটকেরা
হেনস্থায় হিতেনের কাছে ব্যবসায়ীরা
ত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গলে ঢোকার অনুমতির সমস্যা-সহ পর্যটকদের হেনস্থা বন্ধ করতে রাজ্যের বনমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন পর্যটন সংস্থাগুলির সংগঠন। শুক্রবার দুপুরে ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন-সহ বন কর্তাদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে ওই দাবি জানিয়েছে। সম্প্রতি বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় পর্যটকদের ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনার পাশাপাশি জলদাপাড়ার হাতি সাফারির বন্ধের বিষয়টিও বনমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, জঙ্গল ঘেরা বনবস্তিতে পর্যটকদের ঘোরাফেরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারির কথাও। সংগঠনের অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আগাম নোটিশ না দিয়ে স্থানীয় বন কর্তারা মৌখিকভাবে নির্দেশ জারি করে থাকেন। কোনও বিশেষ কারণ ছাড়াই লিখিত নির্দেশ হঠাৎ করে জারি করা হয়। এতে আগাম বুকিং থাকায় পর্যটকেরা হেনস্থা হন। সংগঠনের সভাপতি সম্রাট সান্যাল বলেন, “বন দফতরের কর্তাদের কাছে বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত নোটিশ আগাম জানানোর জন্য বহুবার বলা হয়েছে। কিন্তু মাঝেমধ্যেই সমস্যা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা বর্তমানে পর্যটনের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। এতে জঙ্গলের সুরক্ষা বা গাছ কাটার প্রবণতা কমেছে। বনমন্ত্রীকে আমরা সব জানিয়েছে।” ইতিমধ্যে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মনও। তিনি বলেন, “জঙ্গল মহলে কাজে ব্যস্ত থাকায় ওই সংগঠনের চিঠি পাইনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগগুলি অবশ্যই দেখা হবে। আর বিজ্ঞপ্তির ক্ষেত্রে যাতে আগাম জানানোর ব্যবস্থা করা হয়, সেই উদ্যোগ নেওয়া হবে।” পর্যটন সংস্থাগুলির অভিযোগ, কিছুদিন আগে বাঘ সুমারির কথা বলে জলদাপাড়ায় হাতি সাফারি বন্ধ করা হয়েছিল। নোটিশ থাকলেও তা ঠিকঠাক প্রচার করা হয়নি। এতে পর্যটকেরা জলদাপাড়ার মত জঙ্গলে এসে ঘুরে যান। চলতি সপ্তাহেই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে কলকাতার একটি পর্যটক দলকে হঠাৎ করে জারি করা মৌখিক নির্দেশে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। পরে চাপে পড়ে বন কর্তারা ভুল বোঝাবুঝির কথা বলেন। সম্রাটবাবুর অভিযোগ, “সরকারি আইন মেনেই জঙ্গলকে ঘিরে পর্যটনের প্রসারে বন দফতরের এগিয়ে আসা দরকার। কিন্তু তা না করে একাংশ বন কর্তা কেবলমাত্র বন দফতরের বাংলোকে ঘিরেই পর্যটন প্রসারে উদ্যোগী হয়েছে। রাজ্য সরকারের নতুন নীতি মেনে কাজ হচ্ছে না বলেই আমরা মনে করি। বন এবং পর্যটন দফতরের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন।” বনবস্তিতে পর্যটকদের ঘোরাফেরা করতে বন কর্তারা কোনও ভাবে বাধা দিতে পারেন না বলে মনে করেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়। তিনি বলেন, “বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প ঘোষণার সময় জঙ্গলের ৩৬টি বনবস্তিকে কোর এলাকার বাইরে রাখা হয়। তবে কেন জয়ন্তী-সহ বিভিন্ন বনবস্তিতে পযর্টক ঢোকার সময় বাধা দেওয়া হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। এই সংক্রান্ত অভিযোগ আমার কাছে রয়েছে।” বিধায়কের কথায়, “গত বুধবার অরন্য ভবনে একটি সভায় জয়ন্তীর হোম টুরিজমকে অবৈধ ঘোষণার প্রসঙ্গ তোলা হয়। আমি এর প্রতিবাদ করেছি। এটা কোনও ভাবেই মানা হবে না।” উল্লেখ্য, দেবপ্রসাদবাবু বক্সা টাইগার রির্জাভ ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের সদস্য।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.