|
|
|
|
জামিন নাকচ, জেল হাজতে সিপিএমের প্রদীপ সাহা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নবদ্বীপ |
পূর্বস্থলীর তৃণমূল নেতা সজল ঘোষ খুনের অভিযোগে ধৃত সিপিএম নেতা তথা পারুলিয়ার কুলকামিনী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ সাহাকে জামিন দিল না আদালত।
গত ৯ জানুয়ারি রাতে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করা হয় পূর্বস্থলীর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি সজল ঘোষকে। ওই রাতেই খুনের অভিযোগে প্রদীপ সাহা এবং পূর্বস্থলী কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সন্তু ভৌমিককে পুলিশ গ্রেফতার করে। সন্তু এসএফআই সমর্থক। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩০৭, ৩২৬, ১২০ বি এবং অস্ত্র আইনের ২৫ ও ২৭ ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।
১০ দিন পুলিশ হেফাজতে থাকার পর শুক্রবার তাদের নবদ্বীপের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক প্রদীপ সাহাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। শনিবার তাকে আবার আদালতে হাজির করানো হবে। অন্য অভিযুক্ত সন্তুকে আরও ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। বিচারক তার ২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। নবদ্বীপ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নবেন্দু মণ্ডল বলেন, “পুলিশ তদন্তের স্বার্থে সন্তু ভৌমিকদের তাদের হেফাজতে রাখতে চেয়েছে। আরও কিছু সূত্র তার কাছ থেকে পাওয়া যেতে পারে বলে পুলিশ মনে করছে।” যদিও খুনের ঘটনার আর এক অভিযুক্ত লোকনাথ দেবনাথকে পুলিশ এখনও ধরতে পারে নি।”
সন্তু ভৌমিকের আইনজীবী ষষ্ঠীভূষণ পাল বলেন, “সন্তুকে গ্রেফতার করাটাই রহস্যজনক। পুলিশ নিজেই বলেছে, সন্তু আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তার পরেও তাকে খুনের মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। অথচ ঘটনার দিন সন্তু পারুলিয়ার একটি ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়েছিল। এক বন্ধুর ডাকে সে যখন কলেজ চত্বরে যায় তখন গোলমাল চলছে। সে মাঝখানে পড়ে মার খেয়ে আহত হয়ে দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি হয়। অথচ তাকে রাতে খুনের মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হল।” প্রসঙ্গত, ৯ জানুয়ারি দুপুরে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে ঘিরে সমস্যার সূত্রপাত হয়। |
|
|
|
|
|