|
|
|
|
আজ থেকে শুরু বর্ধমান উৎসব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
ত্রয়োদশ বর্ধমান উৎসব শুরু হচ্ছে আজ, শনিবার। এ বার তাদের থিম ‘সম্প্রীতির শহর বর্ধমান’। শহরের উৎসব ময়দানে শুরু হওয়া এই উৎসব চলবে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। উদ্বোধন করবেন চলচ্চিত্র পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। উপস্থিত থাকছেন অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়, কবি সুবোধ সরকার, অভিনেতা বাদশা মৈত্র ও কবি চিত্রা লাহিড়ী। এছাড়াও থাকবেন বর্ধমানের জেলাশাসক, এসপি, সভাধিপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রমুখ। উৎসব ময়দানে প্রায় ১৫০টি স্টল সাজিয়ে হাজির হয়েছেন বিক্রেতারা।
উৎসব কমিটির সভাপতি তথা বর্ধমান পুরসভার সভাপতি আইনুল হক বলেন, “এই উৎসব উপলক্ষে থাকছে হস্তশিল্পের প্রদর্শনী, প্রতিযোগিতা-সহ নানা আলোচনাচক্র। আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও। মনোজ মুরলি নায়ারের রবীন্দ্রসঙ্গীত, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, লোপমুদ্রা মিত্র, শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়ের আধুনিক গান এ বারের মুখ্য আকর্ষণ।” এছাড়াও গত বছর এই উৎসবের নানা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থানাধিকারীরা এ বার উৎসব মঞ্চে উপস্থিত থাকছেন।
উৎসব উপলক্ষে রবিবার বয়স ভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে শহরের বিদার্থীভবন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। সকাল ৯টায় শুরু হবে প্রতিযোগিতাগুলি। থাকবে গান, নাচ, আবৃত্তি, তাৎক্ষণিক বক্তৃতা, গদ্যাশং পাঠ, গান নিয়ে কুইজ-সহ বিভিন্ন বিষয়। ওই দিনই শহরের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে ৩০তম শিল্পী মণ্ডল স্মৃতি বসে আঁকো প্রতিযোগিতা আয়োজিত হবে। ২৩ জানুয়ারি সমবেত নৃত্যের প্রতিযোগিতা হবে উৎসব মঞ্চে।
এ বছর উৎসবের মঞ্চের নাম দেওয়া হয়েছে স্বামী বিবেকানন্দের নামে। মূলমঞ্চের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বর্ধমানবাসীর কাছে বাড়তি পাওনা ২৫ জানুয়ারি বর্ধমান টাউন হলে সারা রাতব্যাপী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। রাত সাড়ে ৯টা শুরু হবে অনুষ্ঠানটি। উপস্থিত থাকবেন বিক্রম ঘোষ, আমজাদ হোসেন প্রমুখ। উৎসবের শেষ দিন, ২৯ জানুয়ারি থাকবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এ দিকে, বর্ধমানের টাউন হলে শেষ হয়েছে বর্ধমান বিভিন্ন নাট্যসংস্থাকে নিয়ে নাট্য উৎসব। শুক্রবার এই প্রতিযোগিতায় যোগদানকারী দলগুলিকে দেওয়া হয়েছে সান্মানিক ও শংসাপত্র। বুধবার এই নাট্য উৎসবের উদ্বোধন করেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা উৎসবের যুগ্ম সম্পাদক তনুশ্রী সাহা। এ বার শহরের ক্লাবগুলিকে নিয়ে ভলিবল বা ফুটবল প্রতিযোগিতা না হলেও আয়োজন করা হয়েছিল পুরসভার আন্তঃবিভাগীয় ক্রিকেট। এই প্রতিযোগিতায় খেতাব জিতেছে স্বাস্থ্য ও গুদাম বিভাগ। তারা ১৯ রানে ফাইনালে হারিয়েছে কর বিভাগকে। এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিল আটটি বিভাগীয় দল। |
|
|
|
|
|