|
|
|
|
বাগান খুলতে সক্রিয় রাজ্য, বললেন মন্ত্রী |
নিলয় দাস • ঢেকলাপাড়া |
বন্ধ বাগান খোলাতে রাজ্য যথেষ্ট সক্রিয়, ঢেকলাপাড়া চা বাগানে গিয়ে বললেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গৌতমবাবু ঢেকলাপাড়া বাগান যান। আগামী ক্যাবিনেট বৈঠকে ওই বন্ধ বাগান নিয়ে তিনি বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করবেন। আইনি জটিলতায় রাজ্যের পক্ষে বাগানটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মন্ত্রী জানান। গৌতমবাবু বলেন, “আইনি জটিলতা এড়াতে আগামী ২০ জানুয়ারি কলকাতায় উভয়পক্ষের আইনজীবীদের নিয়ে বৈঠক করা হচ্ছে। আশাকরি বৈঠকে বিষয়টির নিষ্পত্তি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্য সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে সমস্ত কিছুই দেখছে। আপাতত নানা প্রকল্পের মাধ্যমে শ্রমিকদের কিছুটা সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।” |
|
ঢেকলাপাড়া চা বাগানে গৌতম দেব। ছবি: রাজকুমার মোদক। |
কয়েক দিনের মধ্যে বাগানে আসবেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেও মন্ত্রী জানান। মন্ত্রী বাগানে যাওয়ার আগে বেলা ১২ টা নাগাদ বাগানে যান রাজ্যের অতিরিক্ত শ্রমসচিব পশুপতি ঘোষ, জলপাইগুড়ি জেলাশাসক স্মারকি মহাপাত্র-সহ জেলার খাদ্য এবং স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। তাঁরা বাগানের শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে অভাব অভিযোগের কথা শোনেন। অধিকাংশ শ্রমিকেরা জানান, অনুদানের টাকা নিয়মিত না মেলায় অভাব চরমে পৌঁছেছে। দেড় লক্ষ টাকা বিল বকেয়া থাকায় বাগান বিদ্যুৎহীন। জলের সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই। চিকিৎসা পরিষেবা ভেঙে পড়েছে। মন্ত্রী জানান, বাগানে সব সময়ের চিকিৎসক আসবেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে টাকা সংগ্রহ করে বিদ্যুৎ-এর ব্যবস্থা করা হবে। সজল ধারা প্রকল্পে জলের ব্যবস্থা ও শ্রমিকদের নিয়মিত ভাতার টাকার ব্যবস্থার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তরাই-ডুয়ার্সের নেতা মধুকর থাপা বাগান খোলার প্রসঙ্গে নানা প্রশ্ন তুললে ক্ষুব্ধ মন্ত্রী তাঁকে চুপ করতে বলেন। মন্ত্রী বলেন, “বাম আমলের উদাসীনতার জন্যই বাগানে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। সে রেশ আজও রয়েছে।” |
|
|
|
|
|