নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
সরকারি প্রকল্পে দ্রুত ‘নো অবজেকশন’ দেওয়ার জন্য চা বাগান কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিলেন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। সোমবার বিধানসভার শ্রম বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে বৈঠক করেন তিনি। শ্রমিকদের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা কী ভাবে বিলি হচ্ছে সেই ব্যাপারে সরকারি আধিকারিক, ট্রেড ইউনিয়ন, চা বাগান মালিকপক্ষ, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন তাঁরা। সেখানেই জানা যায়, চা বাগান মালিকেরা নো অবজেকশন দেওয়ার ক্ষেত্রে গড়িমসি করায় বাগানে ইন্দিরা আবাস প্রকল্পে ঘর তৈরির কাজে গতি আসছে না। বাগানে পানীয় জল, শৌচাগার, বিদ্যুতের কাজে সমস্যা হচ্ছে। শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, “চা বাগানের জমি সরকারি। তা ভুললে চলবে না। বাগান মালিকদের জমি লিজ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা নো অবজেকশন দেওয়ার ক্ষেত্রে গড়িমসি করলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।” পাশাপাশি, চা বাগানে অন্য পরিকাঠামোর কাজে নজরদারির জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। সমস্ত বাগানে যাতে শ্রমিকদের চুক্তি মতো মজুরি দেওয়া হয় তা দেখারও নির্দেশ দেন তিনি। বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে অসংগঠিত শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্প নিয়েও আলোচনা হয়। নির্মাণ শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তার জন্য ৩০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করা হলেও নাম নথিভুক্ত না হওয়ায় সেই টাকার সিংহভাগ বিলি হয়নি। এ দিন সমস্ত ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের শ্রম প্রতিমন্ত্রী এ ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিও যাতে নির্মাণ শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করার কাজে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে সেই নির্দেশও দেন তিনি। ফেডারেশন অব চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, নর্থ বেঙ্গলের (ফোসিন) পক্ষ থেকে এদিন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যদের কাছে অভিযোগ করা হয় শহরের শপিং মলগুলি ‘শপ অ্যান্ড লেবার এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট’ উপেক্ষা করে সপ্তাহে সাত দিন খোলা রাখছে। ফোসিন সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “স্টান্ডিং কমিটির পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে।” |