একশো দিনের কাজ প্রকল্পে ‘আর্থিক দুর্নীতির’ অভিযোগ উঠেছে লালগোলা ব্লকের ময়া পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের বন্দনা সরকারের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি লালগোলা ব্লক অফিসে নির্মাণ সহায়ক পদে কর্মরত সরকারি কর্মী তন্ময় দত্ত, ব্লক অফিসের এক অস্থায়ী কর্মী এবং তিন সুপারভাইজরের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন পঞ্চায়েতের বিরোধী সদস্যেরা। জেলা প্রশাসনিক কর্তারা তদন্ত শুরু করে। বেনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ৫ জানুয়ারি জেলাশাসকের নির্দেশে ওই ৬ জনের বিরুদ্ধে লালগোলা থানায় সরকারি কাজে গাফিলতি ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এরা সকলেই পলাতক।
এখনও পর্যন্ত তাঁদের কেউ গ্রেফতার হয়নি। বিডিও প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্যদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে নিয়ে আসা হয়। জেলা প্রশাসনের তরফে গোটা বিষয়টি তদন্ত করে পঞ্চায়েত প্রধান, এক জন সরকারি কর্মী-সহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বেনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর পরেই জেলা শাসকের নির্দেশে ছ’জনের বিরুদ্ধে লালগোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।” পুলিশ সূত্রে খবর, ময়া পঞ্চায়েত এলাকায় মুকিমনগর ও ধানগড়া গ্রামের রাস্তায় একশো দিনের কাজের তিনটি প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রকল্প অনুযায়ী সরকারি ভাবে যে পরিমাণ কাজ করার কথা ছিল তা হয়নি। বিষয়টি জানতে পেরে ওই পঞ্চায়েতের বিরোধী সদস্যরা ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। এর পরেই জেলা প্রশাসনিক কর্তারা তদন্ত শুরু করে। তদন্তে কাজে বেনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জেলাশাসক পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকির নির্দেশে পঞ্চায়েত প্রধান, নির্মাণ সহায়ক পদে লালগোলা বিডিও অফিসে কর্মরত কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা তন্ময় দত্ত-সহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার ভরতলাল মিনা বলেন, “এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।” |