টুকরো খবর
আলুচাষে ক্ষতি রুখতে কৃষি দফতরের প্রচার
গত কয়েক দিনের অকাল বৃষ্টিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে আলু-সহ শীতকালীন সব্জি-ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন মেঘ কেটে আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেলেও সকালের দিকে কুয়াশা বাড়ছে। যা আলুর পক্ষে ক্ষতিকর। এমনিতেই অকাল বৃষ্টি ও মেঘলা আকাশের জন্য আলুচাষে ধসা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। নতুন করে ক্ষতি এড়াতে তাই আগেভাগেই কৃষি দফতরের কর্তারা সচেতনতামূলক প্রচার শুরু করে দিয়েছে। লিফলেট ছাপিয়ে এই সময় চাষিদের কী করা উচিত এবং কী উচিত নয়তা জানাচ্ছে কৃষি দফতর। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জেলায় আলু, সর্ষে এবং শীতকালীন সব্জি-ফুলচাষে ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এটা প্রাথমিক হিসাব। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। উদ্বিগ্ন কৃষি দফতর তাই কিছু ওষুধ স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছে চাষিদের। জেলার সহ-কৃষি অধিকর্তা (তথ্য) দুলাল দাস অধিকারী জানান, যে সমস্ত জমিতে ধসা রোগ দেখা দিয়েছে, সেখানে প্রতি এক লিটার জলে ডাইমিথোমরফ ১ গ্রাম ও ম্যানকোজেব ২ গ্রাম মিশিয়ে এখনই স্প্রে করা জরুরি। আলুর পাতার নীচে বেশি করে ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে। এ ছাড়াও জমিতে নিয়মিত পরিদর্শন করতে হবে। অযথা জল দেওয়া বন্ধ করতে হবে। রাসয়নিক সার এবং অনুখাদ্য সার না দেওয়াই ভাল। দুলালবাবু আরও জানান, যে সমস্ত জমিতে এখনও রোগের প্রকোপ শুরু হয়নি, সেখানে প্রতি এক লিটার জলে কপার অক্সিক্লোরাইড ৪ গ্রাম, ম্যানকোজেব আড়াই গ্রাম ও মেটিরাম ৪ গ্রাম মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। তাহলেই ধসা-সহ যে কোনও রোগের প্রকোপ থেকে মুক্তি মিলবে।

জমিহারাদের চাকরির দাবি, অবস্থান-বিক্ষোভ
শিল্পশহরে সিইএসসি-র নির্মীয়মাণ তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে স্থানীয় ‘জমিহারা’দের চাকরির দাবিতে সোমবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করল ‘হলদিয়া উদ্বাস্তু কল্যাণ সমিতি’। হলদিয়ার জয়নগরে সিইএসসি-র ‘হলদিয়া এনার্জি লিমিটেড’ প্রকল্প-গেটের বাইরে অবস্থানে বসেন সমিতির সদস্য-সমর্থকেরা। তবে, তাঁদের সঙ্গে ছিল শাসক তৃণমূলেরই ঝান্ডা। কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন সমিতির সম্পাদক স্বপন নস্কর। যিনি আবার তৃণমূল সেবাদলের হলদিয়া মহকুমা সভাপতি। স্বপনবাবুদের অভিযোগ, এই তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে স্থানীয় জমিহারাদের চাকরি না দিয়ে বাইরে থেকে লোক নিয়ে আসা হচ্ছে। এ দিন এ সব দাবি-অভিযোগ নিয়ে তাঁরা সিইএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেন। কর্তৃপক্ষের তরফে কয়েক দিনের মধ্যে পরিকল্পনা জানানোর আশ্বাসে অবস্থান প্রত্যাহৃত হয়। তবে, কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমে কিছু জানাতে চাননি। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের সিইও পি উলাগানাথন বলেন, “পর্ষদই যেহেতু জমি অধিগ্রহণ করেছিল, তাই আমদের দিক থেকে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব রয়েছে। কোনও ফাঁক থেকে গেলে আমরা দেখব।” তবে চাকরির বিষয়টি নিয়ে তাঁদের কিছু করণীয় নেই বলেও সিইও জানিয়েছেন। পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিইএসসি-র প্রকল্পে ব্যবহৃত জমির পরিমাণ প্রায় ৪০০ একর। এর মধ্যে ২০০ একর জমি ১৯৯৬ সালেই অধিগ্রহণ করেছিল পর্ষদ। পরে সিইএসসি প্রকল্প গড়ার প্রস্তাব দিলে ২০০৮ সালে আরও জমি অধিগ্রহণ করা হয়। প্রায় ৩০০ একর জমিতে এখন প্রস্তাবিত প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ চলছে। এই প্রকল্পেই কাজ চাইছেন বিজয় দাস অধিকারী, সুদীপ দাস গোস্বামীরা। তাঁদের বক্তব্য, “জমি দিয়েছিলাম ছেলেরা চাকরি পাবে ভেবে। কিন্তু বাইরে থেকে লোক আনা হচ্ছে।” অন্য দিকে, স্থানীয় সূত্রের খবর, জমিহারাদের দাবির থেকেও তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর শক্তি-প্রদর্শনও সিইএসসি-প্রকল্পে বিক্ষোভের অন্যতম কারণ।

ল’ কলেজ, উপাচার্য সমীপে ছাত্র পরিষদ
মেদিনীপুর ল’কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ তুলে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তীর দ্বারস্থ হল ছাত্র পরিষদ। সোমবার সংগঠনের তরফে তাঁর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ছাত্র-আন্দোলনের জেরে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কলেজ বন্ধ। সেমিস্টার-ফি বাড়ানোর প্রতিবাদেই আন্দোলন শুরু করেছে ছাত্র পরিষদ। এসএফআই-ও ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছে। এ দিন উপাচার্যের কাছে ছাত্র পরিষদ দাবি রেখেছে, অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদল কলেজ পরিদর্শন করুক। যে দল সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, ছাত্র আন্দোলনের জেরেই এক সপ্তাহ কলেজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। তবে আজ, মঙ্গলবার থেকে ফের স্বাভাবিক পঠনপাঠন শুরু হবে। কলেজ খোলার এই নোটিসও সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি, সেখানে নাম উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, ৪ ছাত্রছাত্রীর অভিভাবককে ২২ জানুয়ারি কলেজে এসে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে হবে। নচেৎ, তাঁদের পরবর্তী সেমিস্টারে ভর্তি নেওয়া হবে না। ছাত্র পরিষদের দাবি, যাঁদের অভিভাবকদের তলব করা হয়েছে, তাঁরা সবাই তাদের সংগঠনের কর্মী-সমর্থক। ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুল বলেন, “সংগঠনের কর্মী-সমর্থকদের উপর অন্যায় ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।” কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

কেশপুরে আবার ‘বিক্ষুব্ধ’-মিছিল
তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিছিল করলেন তৃণমূলেরই লোকজন! সোমবার ফের এমন ঘটনা ঘটল কেশপুরে। ফলে, দলের জেলা নেতৃত্বের বিড়ম্বনা বাড়ল। নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, মিছিলে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা তৃণমূলের কেউ নন। সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কেউ কেউ ফের অশান্তি তৈরি করতে চাইছেন। পুলিশের কাছেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। মীর আরশেদ ও গোলাম মোর্তাজা নামে দুই তৃণমূল কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার এবং নেপাল ঘোষ নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাকে শো-কজের প্রতিবাদেই সোমবারের এই মিছিল। মিছিল থেকে নেতৃত্বের নানা ‘দুর্নীতি’ নিয়েও স্লোগান তোলা হয়। দাবি করা হয়, সমস্ত কাজকর্মই স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে হবে। তৃণমূলের পতাকা নিয়েই মিছিল হয়। তবে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আশিস প্রামাণিকের দাবি, “দলের অনুমতি না-নিয়েই মিছিল হয়েছে বলে জেনেছি। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।”

বিক্ষোভ লক্ষ্মণের আর এক কলেজে
মেডিক্যালে অনুমোদন-বিতর্কের পর এ বার গোল প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘আইকেয়ার’ পরিচালিত হলদিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। ক্যাম্পাসিংয়ের দাবিতে সোমবার হলদিয়া ইন্সিটিটিউট অব টেকনোলজির ট্রেনিং ও প্লেসমেন্ট সেলের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করলেন ছাত্রছাত্রীরা। সমস্ত বিভাগের বি-টেক চতুর্থ বর্ষের প্রায় ৩০০ ছাত্রছাত্রী ক্যাম্পাসিংয়ের সময় পেরিয়ে গেলেও তা না হওয়ায় বিক্ষোভ দেখান। কলেজের রেজিস্ট্রার অঞ্জন মিশ্রের বক্তব্য, ৬০০ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ৩৫০ জন ইতিমধ্যেই চাকরি পেয়েছেন। বাকিদের জন্য জুলাই পর্যন্ত সময় রয়েছে।” তাঁর দাবি, চতুর্থ বর্ষের সঙ্গে কিছু জুনিয়র ছাত্রও এ দিন বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। অন্য দিকে, অবিলম্বে ক্যাম্পাসিংয়ের ব্যবস্থা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পড়ুয়ারা।

বিধায়কের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, ধৃত ২
রাস্তায় বিধায়কের গাড়িকে পাশ কাটানোর সময় অশ্লীল গালিগালাজ ও অঙ্গভঙ্গি করার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে কলকাতা যাচ্ছিলেন হলদিয়ার তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা। অভিযোগ, নন্দকুমারের কাছে তাঁর গাড়িকে পাশ কাটানোর সময় একটি ম্যাটাডরের চালক-সহ চার আরোহী অশ্লীল গালিগালজ করে। পরে তালপুকুর রেল ক্রসিংয়ের কাছে বিধায়কের দেহরক্ষী ওই গাড়ি আটকায়। চালক-সহ এক জন পালিয়ে যায়। বাকি দু’জনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। নন্দকুমার থানার পুুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দু’জনের নাম রবীন্দ্রনাথ সামন্ত ও রবীন্দ্রনাথ মাইতি। সোমবার তমলুক আদালতে অবশ্য দু’জনেই জামিন পেয়ে যায়।
স্মারকলিপি
সোমবার তমলুকে স্টেশন পরিদর্শনে আসা দক্ষিণ-পূর্ব রেলের উধ্বর্তন আধিকারিকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া জানিয়ে স্মারকলিপি দিল জোনাল রেলওয়ে কনসালটেটিভ কমিটি। কমিটির তরফে দিব্যেন্দু রায় জানান, তমলুকে মাল্টি ফাংশনাল স্টেশন, স্থায়ী রেক পয়েন্ট, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল প্রতিষ্ঠা, মানিকতলায় শহিদ মাতঙ্গিনী হল্ট স্টেশনটিকে পূর্ণাঙ্গ স্টেশন করার দাবি জানানো হয়েছে।

নন্দীগ্রামে বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু
বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল নন্দীগ্রামের চারগোলিয়া গ্রামে। সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ শ্বশুরবাড়ির কাছেই একটি গাছে সুলেখা পাত্র (২৭) নামে ওই বধূর ঝুলন্ত দেহটি দেখতে পান গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির কারণেই ওই বধূ আত্মঘাতী হয়েছেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.