বারো মাস আগে অস্ট্রেলীয় ওপেনে পরিস্থিতি যা ছিল তার সঙ্গে এ বছর টুর্নামেন্টের পরিস্থিতির অনেক তফাত। তখন রাফায়েল নাদাল ছুটছিল ‘রাফা স্লাম’-এর পিছনে। রজার-রাফা কোর্টের শত্রুতা কিংবদন্তি ছিল। ওদের থেকে পিছিয়ে ছিল নোভাক জকোভিচ আর অ্যান্ডি মারে। আর এখন জকোভিচ অপ্রতিরোধ্য।
মানসিক আর শারীরিক ভাবে নিজেকে অনেক বেশি মজবুত করে জকোভিচ খেলাটাকে অন্য পর্যায়ে তুলে নিয়ে গিয়েছে। যদিও এই মুহূর্তে শারীরিক ক্ষমতার দিক থেকে ও সেরা জায়গায় নেই। অন্য দিকে, দারুণ ফিট দেখাচ্ছে অ্যান্ডি মারেকে। অস্ট্রেলীয় ওপেনের প্রস্তুতি টুর্নামেন্টগুলোয় দারুণ ছন্দে ছিল। মারেকে নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী। তার আর একটা কারণ, ইভান লেন্ডল নামে অসম্ভব টেনিস-দক্ষ একটা মানুষ এ বার ওর খেলার খুঁটিনাটি দিকগুলো দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে। ফলে, হতে পারে এটাই সেই বছর যে বছরে মারে নিজের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জিতবে।
নজর থাকবে জো-উইলফ্রেড সঙ্গার দিকেও। আগের তুলনায় অনেক বেশি পরিণত আর একাগ্র হয়েছে। আজকাল সব ধরনের কোর্টেই ওকে বেশ স্বচ্ছন্দ দেখায়। উইম্বলডনে ফেডেরারকে হারানোর পর থেকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী খেলছে। রজার আবার তিরিশ বছর বয়সে এখন সিনিয়র স্টেটসম্যান। আট বছরের মধ্যে গত বছরই প্রথম ওর নামের পাশে কোনও গ্রান্ড স্লাম নেই। ক’দিন আগে পিঠের ব্যথায় ও দোহার টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্যও হয়েছিল। তা সত্ত্বেও রজার মেলবোর্নে শেষ চারে না পৌঁছলে অবাকই হব।
নাদালের আবার ক্ষমতা বা দক্ষতা, কোনওটাই কমেনি। তবে ওর অপ্রতিরোধ্য ভাবমূর্তিটা গত বারো মাসে ধাক্কা খেয়েছে। নাদাল যে পাওয়ার টেনিসটা খেলে তাতে শরীরের অসম্ভব ধকল যায়। সর্বোচ্চ পর্যায়ে ধারাবাহিক ভাবে সেই ধকল নেওয়া ভীষণ কঠিন। তবে নাদাল অসম্ভব লড়াকু বলে এ বারও খেতাবের অন্যতম দাবিদার। কিন্তু আমার ফেভারিটদের তালিকায় নাদাল নেই। সোজা কথা, এই মুহূর্তে ফর্ম আর ফিটনেস দেখলে অস্ট্রেলীয় ওপেনে এ বার আমার তিন বাজি এ রকম: মারে। সঙ্গা। জকোভিচ। |