ডাকাতি করতে এসে দাবিমতো টাকা, গয়না না পেয়ে রিভলভারের বাঁট, ছুরি দিয়ে আঘাত করে বৃদ্ধ গৃহকর্তাকে জখম করে পালাল দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সিঙ্গুরের বাসুবাটি পঞ্চায়েতের বাজে ধান্যহানা গ্রামে। শেখ সৌকত আলি নামে জখম ওই ব্যক্তিকে সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ ৪-৫ জন দুষ্কৃতী সৌকতের বাড়িতে হানা দেয়। বারান্দার গ্রিলের তালা ভাঙে। শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে সৌকতের ঘরে ঢোকে। ওই ঘরে সৌকত আলি এবং বছর এগারোর নাতনি সালমা খাতুন ঘুমোচ্ছিলেন। দরজায় শাবলের আওয়াজ পেয়ে সৌকতের ঘুম ভেঙে যায়। সৌকতবাবুর দাবি, দুষ্কৃতীদের মুখ গামছা দিয়ে বাধা ছিল। তারা ঘরে ঢুকে বলে, “যা আছে বের করে দে।” বৃদ্ধ রুখে দাঁড়ালে দু’পক্ষের বচসা বাধে। সেই আওয়াজে পাশের ঘর থেকে সৌকতের পুত্রবধূ জাহানারা বেগম উঠে আসেন। ডাকাতরা তাঁর থেকে আলমারির চাবি চায়। ভয় পেয়ে জাহানারা চাবি দিয়ে দেন।
ওই পরিবারের দাবি, আলমারিতে থাকা কিছু টাকা এবং সোনার গয়না হাতিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। তার পরে আরও টাকা-গয়না চায়। সৌকত বলেন, “আমরা জানিয়ে দিই আর কিছু নেই। তখন এক দুষ্কৃতী বন্দুকের বাঁট দিয়ে আমার মাথায় মারে। ডান হাতে ছুরি চালিয়ে দেয়।” দাদুকে মারতে দেখে সালমা ভয়ে চেঁচামেচি আরম্ভ করে দেয়। তাঁর চিৎকারে পড়শিরা উঠে পড়েন। বেগতিক বুঝে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। কিছুই নিয়ে যেতে পারেনি তারা।
পুলিশ জানায়, সৌকতের ছেলে অন্য রাজ্যে সোনারুপোর কাজ করেন। সে কারণেই দুষ্কৃতীরা ভেবেছিল, বাড়িতে অনেক টাকা, গয়না আছে। সে ভাবে কিছুই না পেয়ে বৃদ্ধকে জখম করে পালায় তাঁরা।
|