তৃণমূলের আনা অনাস্থায় ভোটাভুটিতে হেরে গিয়ে পদ খোওয়ালেন তৃণমূল-কংগ্রেস জোটের প্রধান। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার হাওড়ার জয়পুরের ঘোড়াবেড়িয়া-চিৎনান পঞ্চায়েতে।
ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৩টি। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখানে কংগ্রেস ও তৃণমূল যথাক্রমে ৭ ও ২টি আসন পায়। সিপিএম পায় ৪টি আসন। নির্বাচনের আগে আসন নিয়ে জোট করেছিল কংগ্রেস ও তৃণমূল। ভোটের পরে কংগ্রেস প্রধানের এবং তৃণমূল উপপ্রধানের পদ পায়। ২০১০ সালের ১০ এপ্রিল কংগ্রেসের তিন জন এবং সিপিএম থেকে দু’জন তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে তৃণমূলের সদস্যসংখ্যা দাঁড়ায় সাত।
গত ২ জানুয়ারি ওই সাতজন তৃণমূল সদস্য কংগ্রেস প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, পঞ্চায়েত প্রধান উন্নয়নের কোনও কাজ করেননি। এ ছাড়া পঞ্চায়েতের কাজকর্মের ব্যাপারে তাঁদের সঙ্গে আলোচনাও করেন না। সোমবার ভোটাভুটিতে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ৭টি। বিপক্ষে পড়ে ৪টি।
সিপিএমের দু’জন সদস্য ভোট দেননি। তৃণমূলের আমতা বিধানসভা কেন্দ্রে সভাপতি সেলিমুল আলম বলেন, “কংগ্রেস প্রধান কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করেননি। যেহেতেু পঞ্চায়েতে আমাদের দলের সদস্য বেশি। তাই আমরা নতুন প্রধান নির্বাচনের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনি।”
কংগ্রেস প্রধান করণা বেরা অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে আনা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ দিন আমতার কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র বলেন, “এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দীর্ঘদিন সমাজবিরোধীদের দাপটে উন্নয়নের কাজ বন্ধ ছিল। আমাদের প্রধান ঝুঁকি নিয়েই উন্নয়নের কাজ শুরু করেছিলেন। যাদের জন্য উন্নয়নের কাজ বন্ধ ছিল তাদের মদতদাতারাই এখন ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নেমেছেন।”
বই বিলি। এলাকার দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের সোমবার পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করল খানাকুলের সুন্দরপুর গ্রামের একটি ফুটবল ক্লাব। ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬০ জন দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের বই দেওয়া হয়েছে। গ্রামের কিছু দুঃস্থ মানুষকে শীতবস্ত্রও দান করা হয়। |