১০০ দিন প্রকল্পের কাজে গিয়ে এলাকার কিছু যুবকের হাতে বেধড়ক মার খেলেন গ্রামবাসীরা। বন্ধ করে দেওয়া হল ওই প্রকল্পের কাজ।
সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙার নাইটা-মালপাহাড়পুর পঞ্চায়েতের আকড়গড়িয়া গ্রামে। সিপিএমের লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে আহতদের অভিযোগ। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এলাকার দুই সিপিএম সমর্থককে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে আকড়গড়িয়ায় ২৬ নম্বর রুটের ধারে নর্দমা সংস্কারের কাজ চলছিল। পিয়াসারার কিছু লোক সেখানে কাজ করছিলেন। পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, হামলাকারীরা এসে বলে, বাইরের লোক ওই প্রকল্পে কাজ করছে। ফলে তারা কাজ পাচ্ছে না। অভিযোগ, সুপারভাইজারকে কাজ বন্ধের হুমকি দেয় তারা। দু’পক্ষের তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। এই দেখে কর্মীরা ছুটে আসেন।
তখনই ওই যুবকেরা রড, বাঁশ, লাঠি দিয়ে তাদের মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা আয়ত্তে আনে। অসিত ঘোষ এবং নির্মল দে নামে দুই ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। তাঁদের তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আহতদের অভিযোগ, “সিপিএমের লোকজন কাজে বাধা দিচ্ছে। তারাই মারধর করেছে।” আহতেরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ধর্মেন্দ্র রায় এবং বাপন সাঁতরা নামে দুই সিপিএম সমর্থককে গ্রেফতার করে।
তারকেশ্বরের পুরপ্রধান, তৃণমূল নেতা স্বপন সামন্ত বলেন, ‘‘ওই প্রকল্প বানচাল করতেই সিপিএম পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায়।” সিপিএম অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সিপিএমের তারকেশ্বর জোনাল কমিটির সম্পাদক স্নেহাশিস রায় বলেন, “যে এলাকার কাজ, সেই এলাকার লোককে বঞ্চিত করায় তৃণমূলের এক দল কর্মীর সঙ্গে গ্রামবাসীদের বিবাদ বাধে। ওরাই গ্রামবাসীদের উপর হামলা চাপায়। আমাদের দলের ছেলেদের ঘাড়ে মিথ্যে দোষ চাপাচ্ছে।” পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, কাজে কোনও অনিয়ম হয়নি। |