উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের অভাব-অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য এক সদস্যের বিশেষ কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। ছাত্র ভর্তি, ক্যাপিটেশন নেওয়া, কোনও নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পড়তে অনিচ্ছুক ছাত্র-ছাত্রীদের মার্কশিট আটকে রাখা, ভর্তি তালিকায় কারচুপি কিংবা পড়ুয়াদের মধ্যে জাতপাতের ভিত্তিতে বৈষম্য করার অভিযোগ উঠলে তা খতিয়ে দেখার দায়িত্বে থাকবেন ওই ব্যক্তি। এআইসিটিই-এর আওতায় রয়েছে এমন ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট কলেজগুলিকে এবং এনসিটিই-এর অধীনে থাকা সমস্ত শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং কেন্দ্রীয় ও ডিম্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিজেদের প্রতিষ্ঠানে এই এক সদস্যের কমিটি গড়তে হবে। তবে অভিযোগের হার কম থাকলে একসঙ্গে দু’-তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক জন ব্যক্তিকেই নিয়োগ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী কপিল সিব্বল।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পক্ষপাতদুষ্ট কাজকর্ম রোখা ও শাস্তি সংক্রান্ত বিলটি নিয়ে আলোচনায় শিক্ষা সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এই আইনটি তৈরির সুপারিশ করেছিল। যা মেনে নেয় সিব্বলের মন্ত্রক। চলতি মাসেই আইনটি একটি নির্দেশিকার মাধ্যমে নিয়ে আসতে চলেছে সরকার। মন্ত্রকের বক্তব্য, কোনও পড়ুয়া অভিযোগ জানালে এক মাসের মধ্যে ওই অভিযোগের ফয়সালা করতে হবে কমিটিকে। কপিল বলেন, “রায় পড়ুয়ার পক্ষে গেলেও অবশ্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তা মানতে বাধ্য থাকবে না। তবে ছাত্র বা ছাত্রী যদি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ফের অভিযোগ জানান, তখন কমিটির রায়কে তিনি ‘অস্ত্র’ করতে পারেন।” আর কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যদি একাধিক বার একই অভিযোগ ওঠে সে ক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠানের বৈধতা বাতিল করার সিদ্ধান্তও নিতে পারে মন্ত্রক। |