টুকরো খবর
প্রণবের সঙ্গে বৈঠক এড়ালেন ইনটাক-প্রধান
ফের কংগ্রেস তথা মনমোহন সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেন দলের শ্রমিক সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি জি সঞ্জীব রেড্ডি। বাজেটের আগে শ্রমিক সংগঠনগুলির নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বৈঠককে ‘আনুষ্ঠানিক’ বলে আজ তা এড়িয়ে গেলেন আইএনটিইউসি সভাপতি। কংগ্রেস নেতৃত্ব এর পরেও রেড্ডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নারাজ। এর আগে নজিরবিহীন ভাবে বিরোধী শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে জোট বেঁধে কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ ধমর্ঘটে যোগ দেন রেড্ডি। কংগ্রেসের বক্তব্য, বিশ্ব জুড়ে মন্দার ফলে এ দেশেও শ্রমিকদের উপরে প্রভাব পড়েছে। রেড্ডি সেই ক্ষোভের কথা তুলে ধরছেন। ফলে বিরোধিতার পরিসরটাও কংগ্রেসের হাতেই থাকছে। প্রণববাবুর সঙ্গে বৈঠক এড়িয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে রেড্ডি বলেন, “আমরা বৈঠক বয়কট করছি না। কিন্তু অর্থমন্ত্রী প্রতি বারই নিয়মমাফিক আমাদের বক্তব্য শোনেন। বাজেটে তার ছাপ পড়ে না। তাই যাইনি।” বৈঠককে ‘আনুষ্ঠানিক’ বলে তা এড়িয়ে গিয়েছেন এআইটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক গুরুদাস দাশগুপ্ত ও বিএমএস-এর সম্পাদক বৈজনাথ রাই-ও। তবে সিটু-র সাধারণ সম্পাদক তপন সেন সব শ্রমিক সংগঠনগুলির তরফে যৌথ স্মারকলিপি প্রণববাবুর হাতে তুলে দেন। তপনবাবু বলেন, “গত বার ৮% আর্থিক বৃদ্ধি সত্ত্বেও কর্মসংস্থান কমেছে। শ্রমিক আইন অমান্য হচ্ছে। পিএফে সুদ কমানো নিয়ে আপত্তি তুলেছি।” প্রণববাবুর কাছে পশ্চিমবঙ্গের সমস্যাও তুলে ধরেন ইউটিইউসি-র সম্পাদক অশোক ঘোষ। পশ্চিমবঙ্গে কৃষকদের ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়া বা রাজ্যের চা-বাগানের সমস্যার মতো বিষয়ে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি তোলেন তিনি।

সনিয়ার ছবিতে কালি ছেটালো রামদেব-শিষ্যরা
কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর ছবিতে কালি ছিটিয়ে দিল যোগগুরু রামদেবের শিষ্য-সমর্থকরা। আজ বিকেল চারটে নাগাদ আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরের সামনে ঘটনাটি ঘটেছে। কংগ্রেসের সদর দফতরের সামনে টাঙানো হোর্ডিংয়ে সনিয়ার ছবির উপরে এক দল রামদেব-সমর্থক কালি ছিটিয়ে দেয় বলে কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ। এই ঘটনায় রামদেবের দুই সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্লোগান দিতে দিতে সনিয়ার ছবিতে রামদেবের সমর্থকরা কালি ছেটানোর পরেই কংগ্রেস কর্মীরা দফতর থেকে বেরিয়ে আসেন। তার পরেই দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। এমনকী, রামদেবের এক সমর্থককে মারধরও করেন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, “এই ঘটনার পিছনে বিজেপি বা অন্য কোনও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীও যুক্ত থাকতে পারে।” শনিবারই রামদেবের মুখে-গায়ে কালি ছিটিয়ে দেয় দিল্লির এক ‘সমাজসেবী’। রামদেব শিষ্য-সমর্থকদের দাবি, এই ষড়যন্ত্রের পিছনে ছিল কংগ্রেসই। এই ঘটনার নিন্দা করলেও কংগ্রেস কিন্তু সে সময় বলেছিল, কালি ছেটানোর ঘটনা পুরোটাই ‘সাজানো’।

ট্যাবলোর থিমে বাজবে মমতার পছন্দের গানই
কেন্দ্রের সঙ্গে ‘গানের লড়াই’-এ জিতলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী, প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলোর সঙ্গে ‘নীল দিগন্তে ওই ফুলের আগুন লাগল’ গানটিই বাজবে। আজ এতে সম্মতি দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রায় এক দশক পরে দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের ট্যাবলোর থিম শান্তিনিকেতন। কিন্তু শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসবের সাজে তরুণ-তরুণীদের নাচের সঙ্গে কোন গান বাজবে, তা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞ কমিটির মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী নিজে চাইছিলেন ‘নীল দিগন্তে’। কিন্তু বিশেষজ্ঞ কমিটির মত ছিল ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে’ বেশি মানানসই হবে। শুক্রবারের বৈঠকে এ নিয়ে মতৈক্য না হওয়ায় আজ ফের বৈঠক বসে। সেখানে রাজ্যের দাবিই মেনে নেয় কেন্দ্র। ট্যাবলোর চূড়ান্ত নকশা অনুযায়ী, শান্তিনিকেতনের উপাসনাগৃহ, কলাভবনের চিত্রকলা, খোলা আকাশের নীচেই ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা, ছবি আঁকার দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হবে। রামকিঙ্কর বেইজের ‘কলের বাঁশি’ ও ‘সুজাতা’-র মতো বিখ্যাত দু’টি মূর্তির প্রতিরূপও থাকবে। ট্যাবলোর পাশে এক দল তরুণ-তরুণী বসন্ত উৎসবের সাজে ‘নীল দিগন্তে’-র তালে নাচতে নাচতে যাবেন। ঠিক যেমনটি চেয়েছিলেন মমতা।

ভাট্টা-পারসল নিয়ে রায়দান স্থগিত
ভাট্টা-পারসলে সংঘর্ষ নিয়ে রায়দান স্থগিত রাখল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। এই রায় নিয়ে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে প্রচার চায় না আদালত। সোমবার সে কথা সাফ জানিয়েছে বিচারপতি ইমতিয়াজ মুর্তজা ও বিচারপতি ভি কে দীক্ষিতের বেঞ্চ। ২০১১ সালের মে মাসে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে ভাট্টা-পারসল গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। ওই ঘটনায় দুই পুলিশ সহ চার জন নিহত হন। আহত হয়েছিলেন গৌতম বুদ্ধ নগরের তৎকালীন জেলাশাসকও। এই ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যের রাজনীতি। ভাট্টা-পারসল সফরে যান কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। ওই গ্রামে পুলিশ মহিলাদের ধর্ষণ করেছে বলে দাবি করেন তিনি। কিছু গ্রামবাসীর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন রাহুল। ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন গ্রামবাসী অতুল শর্মা ও আরও কিছু ব্যক্তি। সোমবার হাইকোর্ট জানিয়েছে, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই মামলার রায় দেওয়া হবে। ওই মাসের প্রথম সপ্তাহেই উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে।

উত্তর-পূর্বে শীতের দাপটে মানুষ ঘরবন্দি
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে বদলে গেল উত্ত্রর-পূর্বাঞ্চলের আবহাওয়াটাই। আগামী কয়েকদিন অসম, মেঘালয়, মণিপুরের কিছু অংশে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে গুয়াহাটির আবহাওয়া দফতর। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ঘন কুয়াশায় শিলং-এর রাস্তা জনহীন। নির্বাচনী উষ্ণতাকেও ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে ইম্ফলের ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। কয়েকদিন ধরেই, দিনের অধিকাংশ সময় ইম্ফলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির বেশি ওঠেনি। মণিপুরের অবস্থা আরও শোচনীয়। শৈত্যপ্রবাহে মানুষ গৃহবন্দী। লোডশেডিং-এর ধাক্কায় হিটার দিনের অধিকাংশ সময়ই অকেজো। ‘মেইফু’ বা ‘ফুং পা’তে চারকোল জ্বালিয়ে মণিপুরে ঘর গরম রাখতে হচ্ছে। টানা তিন মাসের অবরোধে এক ব্যাগ কয়লা কিনতে খরচ হচ্ছে সাড়ে চারশো-পাঁচশো টাকা। নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমা ও মিজোরামের রাজধানী আইজলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রির আশপাশে থাকছে। অসমে তা ৭ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে।

মণিপুরে তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ির কাছে বিস্ফোরণ
তৃণমূল প্রার্থীর ঘরের অদূরেই বিস্ফোরণ ঘটল মণিপুরে। পুলিশ জানায়, আজ সকাল ১১টা নাগাদ ইম্ফলের ক্ষেত্রীগাঁও কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী পি প্রেমানন্দ সিংহের বাড়ি থেকে দেড়শো মিটার দূরে, কোংবা নদীর পাড়ে একটি আইইডি ফাটে। তবে কেউ জখম হয়নি। এ দিনই ইম্ফলের খুয়াথং এলাকা থেকে আরও একটি আইইডি উদ্ধার করে পুলিশ। এক কিলো ওজনের বোমাটি প্লাস্টিকের প্যাকেটে ছিল। এ ক্ষেত্রেও তৃণমূলের প্রার্থী খংনাম জয়কৃষ্ণের সভা চলাকালীনই বোমাটি মেলে। গত রাতে তামেংলং-এর কংগ্রেস প্রার্থী তথা বর্তমান নির্দল বিধায়ক খংথুয়ানাং পানমেইয়ের দেহরক্ষীর সঙ্গে বিধায়কেরই এক অনুগামী, পি মানসির কথাকাটাকাটি হয়। বিবাদ চলাকালীন দেহরক্ষী মানসিকে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মারা যান মানসি। মণিপুর রাইফেল্স-এর জওয়ান ওই দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

খারাপ গমবীজ দিয়ে কালো তালিকায় সংস্থা
উপযুক্ত মানের গমবীজ সরবরাহ না করার অভিযোগে ‘নেরম্যাক’ সংস্থাটিকে কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য কৃষি দফতর। সোমবার মহাকরণে এ কথা জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “সংস্থাটি যে উপযুক্ত মানের এবং জাতের গমবীজ সরবরাহ করেনি, তা তদন্তে প্রমাণিত। তবে তারা রেশনের গম সরাসরি সরবরাহ করেছে কি না, তা প্রমাণিত হয়নি। কৃষি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে সংস্থাটিকে কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সংস্থাটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছি।” মন্ত্রীর দাবি, সংস্থাটিকে গমবীজ সরবরাহের বরাত দিতে টেন্ডারে কারচুপির যে অভিযোগ উঠেছে, তা সঠিক নয়। তিনি জানান, এ বার চাষিদের বাদাম, ভুট্টা ও মুগ-কড়াইয়ের বীজ সরবারহ করা হবে। জাতীয় বীজ নিগম এবং কর্নাটক বীজ নিগমকে সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

কম্যান্ডোদের গুলিতে হত ৩
কম্যান্ডোদের গুলিতে তিন জঙ্গির মৃত্যু হল। কাল রাতে ইম্ফলের লামডেং খুনৌ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পশ্চিম ইম্ফল পুলিশ জানায়, জঙ্গি গতিবিধির খবর পেয়ে কম্যান্ডোরা ইরোইসেম্বা রোডে যায়। সেখানে কয়েকজনকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে জওয়ানরা আত্মসমর্পণ করতে বলে। জবাবে তারা গুলি চালায়। কম্যান্ডোদের পাল্টা-গুলিতে তিন জন মারা যায়। তাদের কাছ থেকে একটি একে ৫৬ রাইফেল, পিস্তল ও কিছু কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে।

ফুটপাথে শিশুর দেহ
ফুটপাথে মিলল কুকুরে খাওয়া এক শিশুর মৃতদেহ। পুলিশ জানায়, কাল রাতে গুয়াহাটিতে হাসপাতালের কাছে, ফুটপাথে কেউ সদ্যোজাত শিশুটিকে ফেলে গিয়েছিল। আজ সকালে ভাঙাগড় থানায় ফোন করে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি শিশুটির পড়ে থাকার খবর দেয়। পুলিশ দেহটিকে ময়না তদন্তে পাঠায়।

সেনা সংঘর্ষে হত জঙ্গি
সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে এক রিয়াং জঙ্গি। শনাক্ত করা না-গেলেও সেনাসূত্রে খবর, হত ব্যক্তি ইউনাইটেড লিবারেশন আর্মি অব ব্রুল্যান্ড (ইউল্যাব)-এর সদস্য। উদ্ধার হয়েছে একটি একে ৪৭ রাইফেল, একটি পিস্তল, বেশ কিছু কার্তুজ। করিমগঞ্জ জেলায় বাজারিছড়া থানার পিপলাপুঞ্জিতে আজ সেনাবাহিনীর ৫৭নং মাউন্টেন আর্টিলারি ব্রিগেডের ৩৩নং ফিল্ড রেজিমেন্ট জওয়ানদের সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষ বাধে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.