দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত বাবুসিংহ কুশওয়াহাকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট উচ্চবর্ণ। তাই তাঁদের ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি নেতৃত্ব। সে কারণে দলিত ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) মধ্যে পিছিয়ে থাকা সম্প্রদায়ের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে আর্থিক ভিত্তিতে উচ্চবর্ণের সংরক্ষণের পক্ষেও এখন সওয়াল করছে দল।
আজ দলের সভাপতি নিতিন গডকড়ী লখনউতে বিজেপির ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ প্রকাশ করেন। সেখানে বলা হয়েছে, ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্যের মতো উচ্চবর্ণের একটি বড় অংশের মধ্যে অভাব ও দারিদ্র রয়েছে। তাই তাঁদের প্রত্যাশাকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। তাই আর্থিক দিক থেকে যাঁরা পিছিয়ে রয়েছেন তাঁদের সংরক্ষণ দেওয়ার পক্ষপাতী বিজেপি। এই নথিতে বিজেপি পরোক্ষে দলিত ও ওবিসির মধ্যে সংরক্ষণের কথা বলে ‘অতি-দলিত’ ও ‘অতি-পিছড়ে’ শ্রেণির কথাও উল্লেখ করেছে। রাজনাথ সিংহ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়েও এই ঘোষণা করেন।
মায়াবতীর ব্যাপারে উচ্চবর্ণের মোহভঙ্গ হয়েছে বলে ইঙ্গিত পাওয়ার পরে বিজেপি নেতৃত্ব ধরেই নিয়েছিলেন, এ বারে সেই সম্প্রদায়ের ভোট তাদের ঝুলিতে যাবে। সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই কংগ্রেসের সংখ্যালঘু তাসের মোকাবিলায় বিজেপি পাল্টা ওবিসি তাস খেলা শুরু করেছিল। কিন্তু কুশওয়াহাকে দলে নিয়ে আসার পরে বিজেপির ব্যাপারেও উচ্চবর্ণের মোহভঙ্গ হয়েছে বলে দল বুঝতে পারছে। বিজেপি নেতাদের মতে, শিক্ষাগত দিক থেকে এগিয়ে থাকায় উচ্চবর্ণ অনেক বেশি ওয়াকিবহাল ও সচেতন। ফলে তাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত কোনও নেতাকে দলে সামিল করার কথা মেনে নিতে পারছে না।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজেপিতে কুশওয়াহার সদস্যপদ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। বিজেপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, “ময়দানে নেমেও উচ্চ বর্ণকে বোঝানো হচ্ছে, কুশওয়াহা বিজেপিতে নেই। পাশাপাশি তাদের মন পেতে আর্থিক ভিত্তিতে উচ্চ বর্ণের সংরক্ষণের কথা বলা হচ্ছে।” উচ্চবর্ণকে ধরে রাখতে বাজপেয়ীর শরণাপন্নও হয়েছে বিজেপি। ‘ভিশন ডকুমেন্টে’ বাজপেয়ীর ছবি ছাড়াও তাঁর উদ্ধৃতি ব্যবহার করা হয়েছে।
আবার ওবিসি জনভিত্তিও যাতে হাতছাড়া না হয়ে যায়, সে ব্যাপারেও সতর্ক দল। কুশওয়াহাকে দলে নেওয়ার পর কল্যাণ সিংহ প্রকাশ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন। ওবিসি ভোট যাতে হাতছাড়া না হয়, সে জন্য এই নথিতে কল্যাণ সিংহের সরকারেরও তারিফ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এখন বিজেপির সঙ্গে না থাকলেও কল্যাণ সিংহ সব থেকে ভাল মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। শরিক জেডি (ইউ) উত্তরপ্রদেশে পৃথক লড়লেও ‘ওবিসি’ নেতা নীতীশ কুমারের ছবি দিয়ে বিহার সরকারেরও ভূয়সী প্রশংসা করা হচ্ছে।
|
মায়ার নামে নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
উত্তরপ্রদেশে সরকারি আধিকারিকদের নির্বাচনী প্রচারের কাজে লাগানো হচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানাল কংগ্রেস। আজ দলের নেতা দিগ্বিজয় সিংহ, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিরা কমিশনকে জানান, রাজ্যের ক্যাবিনেট সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব থেকে শুরু করে নিচু স্তরের আমলারাও মায়াবতীর দলের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন। |