|
|
|
|
ওই পারে কেঁদুলি, স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে মারপিট কাঁকসায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁকসা |
অজয় নদের ও পারে জয়দেব মেলা। এ পারে যানবাহন ও সাইকেল রাখার জায়গা বানিয়ে মেলার দিনগুলিতে রোজগার করেন স্থানীয় গ্রামগুলির বাসিন্দারা। সেই স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে রবিবার রাতে বচসা থেকে হাতাহাতি বেধে যায়। দু’পক্ষের ৫ জন জখম হয়েছেন। কাঁকসা থানা থেকে পুলিশের একটি গাড়ি গেলে সেটিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এক পক্ষ। পরে আরও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সোমবার ফের দু’পক্ষ রাস্তায় গাড়ি আটকাতে শুরু করলে অশান্তি ছড়ায়। মেলাগামী বাসযাত্রীরা আটকে পড়েন। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক আয়েষা রানি এ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। তিনি পরে বলেন, “আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এলাকায় পুলিশি টহল রয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাটগোড়িয়া ও শিবপুর রোড এলাকার বাসিন্দারা পৃথক গাড়ির স্ট্যান্ড গড়েছেন। শিবপুর রোডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় তাঁদের গ্রামের এক আত্মীয়ের গাড়ি আটকে টাকা চায় জাটগোড়িয়ার লোকজন। প্রতিবাদ করায় তাঁদের উপরে হামলা হয়। শিবপুর রোডের বাসিন্দা কৌশিক পালের কথায়, “আমাদের আত্মীয় ঝাঁঝড়া থেকে গাড়ি নিয়ে এসেছিলেন। তাঁকে জাটগোড়িয়ার স্ট্যান্ডে গাড়ি রাখতে হবে বলে জোর করে ট্যাক্স নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। আমরা প্রতিবাদ করি।” তাঁর অভিযোগ, এরপরেই চড়াও হয় জাটগোড়িয়ার লোকজন। হামলায় জখম হন তাঁদের ৪ জন। স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তিপদ পান বলেন, “আমার দোকানের মালপত্র বের করে ফেলে দেওয়া হয়।” শিবপুর রোডের বাসিন্দা নদিয়া হাজরার অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা সরিফ মণ্ডল তাঁদের উপরে হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। সরিফবাবু অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি গণ্ডগোল থামানোর চেষ্টা করেছেন। জাটগোড়িয়ার বাসিন্দারা তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, বছরের পর বছর ধরে তাঁরা জয়দেবের মেলা উপলক্ষে স্ট্যান্ড তৈরি করেন। এ বারও করেছেন। কিন্তু শিবপুর রোডের বাসিন্দারা তাঁদের স্ট্যান্ডে আসা গাড়ি জোর করে নিয়ে নিচ্ছেন। প্রতিবাদ করলে এক জনকে মারধর করা হয়। তারই প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অন্য পক্ষের কাউকে মারধোরের কথা অস্বীকার করেছেন শেখ আইনুল, মহম্মদ ইকরামরা। |
|
|
|
|
|