|
|
|
|
দুর্ঘটনায় পুণ্যার্থী বোঝাই বাস, মৃত রাজস্থানের ৩ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল ও কলকাতা |
গঙ্গাসাগর মেলা থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিন জনের। রাজস্থানের বিকানের থেকে আসা তীর্থযাত্রী বোঝাই একটি বাস আসানসোলে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। জখম হয়েছেন ২৫ জন যাত্রী। তাঁদের আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে দু’জনকে কলকাতার এসএসকেএমে স্থানান্তর করা হয়। এ দিন মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বাসের খালাসি পান্নারাম গোধরা (৩০) এবং এক দম্পতি গীতা দেবী (২৫) ও লক্ষ্মীনারায়ণ পুজারীর (৩০)। এ দিন ভোর ৪টে নাগাদ আসানসোল উত্তর থানার শীতলা মোড়ের কাছে জাতীয় সড়কে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরিকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে বাসটি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকট আওয়াজ পেয়ে বাইরে বেরিয়ে তাঁরা দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি দেখতে পান। উদ্ধার কাজ শুরু করেন তাঁরাই। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। জখমদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে বাসের খালাসি ও ওই দম্পতিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। |
|
দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই বাস। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, জখমদের চিকিৎসা চলছে। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা জিজ্ঞাসা করা হলে বাসের চালক গোর্খা রাম স্পষ্ট ভাবে কিছু জানাতে পারেননি। তবে এ দিন যে কুয়াশা ছিল না, তা তিনি স্বীকার করেন। চালক জানান, যে লরিটিতে বাসটি ধাক্কা মারে সেটি জাতীয় সড়কের মূল দু’টি লেন ছেড়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাসের চালক তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়াতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। জখম যাত্রী গোপ ওঝা জানান, তাঁরা ঘুমোচ্ছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দ করে তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে বাসটি থেমে যায়। সকলেই মাথা, নাক ও থুতনিতে আঘাত পান। কিছুক্ষণ বাসের মধ্যে ওই অবস্থায় পড়ে থাকার পরে স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ এসে উদ্ধার করেন তাঁদের।
দুর্ঘটনায় জখমদের ব্যাপারে খোঁজ করতে এ দিন হাসপাতালে যান আসানসোলের অতিরিক্ত জেলাশাসক বিশ্বজিৎ দত্ত, মহকুমাশাসক সন্দীপ দত্ত এবং মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতাল সুপার নিখিল দাসের ঘরেই জরুরি ভিত্তিতে ‘কন্ট্রোল রুম’ খোলা হয়। অতিরিক্ত জেলাশাসক জানান, জখম ও মৃতদের তালিকা তৈরি করে জেলাশাসকের মাধ্যমে তা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা যাত্রীদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্য যাত্রীদের স্থানীয় গোশালায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সব রকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাস। সুপার নিখিল দাস জানিয়েছেন, দু’জন জখম যাত্রীকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় মৃত তিন জনের দেহ বিকানেরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|