‘চোলাই খেয়ে’ মৃত ২ কালনায় |
চোলাই বিক্রেতার বাড়ির কাছ থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন মৃতের দাদা। সোমবার কালনার সাহাপুর গ্রামের ঘটনা। মৃত মঙ্গল সূত্রধরের (৪৫) বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে কিলোমিটার তিনেক দূরে, কালনার দশ নম্বর ওয়ার্ডে উঁচু জাপট এলাকায়। মৃতের দাদা হরিদাস সূত্রধরের কথায়, “একটি ধানকলে ভাই কাজ করত। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি ফেরেনি। ভোর থেকে খোঁজ শুরু করি। এর পরে সাহাপুর গ্রামে এক চোলাই বিক্রেতার বাড়ির কাছ থেকে ওর দেহ পাওয়া যায়। দেহ তোলার সময়েও চোলাইয়ের গন্ধ পেয়েছি।” অন্য দিকে, কালনা ২ ব্লকের আমদাবাদ গ্রামে শনিবার মদ্যপ অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল শঙ্কর মান্ডি (৩২) নামে এক যুবককে। তাঁকে প্রথমে বৈদ্যপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। পরিস্থিতির অবনতি হলে পরে সেখান থেকে তাঁকে মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। রবিবার ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় শঙ্করের। মৃতের বৌদি সুমিতা মান্ডির কথায়, “চোলাই ওর প্রাণ কেড়ে নিল।” সোমবার দুপুরে দু’টি ঘটনারই তদন্তে নামেন কালনা থানার ওসি অমিতকুমার মিত্র এবং আবগারি দফতরের ওসি বিষ্ণুপদ রায়। বিষ্ণুপদবাবুর দাবি, “চোলাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। প্রয়োজনে অভিযানের মাত্রা বাড়ানো হবে।”
|
নকল নথিতে সিম বিক্রি, গ্রেফতার ২ |
নকল নথি জমা দিয়ে মোবাইলের সিম বিক্রি করার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত জাহাঙ্গির শেখ ও তপন মালাকারের বাড়ি কালনার শাঁখাটি ও সমুদ্রগড়ের কুত্তিরডাঙা গ্রামে। ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ ৯৯০টি সিম কার্ড, ৯০০টি জাল পরিচয়পত্র এবং ৯৪৪টি পুরুষ ও মহিলার ছবি। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই দুই বিক্রেতা বেআইনি ভাবে নকল পরিচয় পত্র এবং ছবি সংগ্রহ করেছিল। শনিবার এসডিপিও (কালনা) ইন্দ্রজিৎ সরকার এবং কালনা থানার ওসি অমিতকুমার মিত্র খবর পেয়ে বিভিন্ন মোবাইলের দোকানে হানা দেয়। পুলিশের দাবি, নকল পরিচয় পত্র দিয়ে বিভিন্ন দোকান থেকে সিম কার্ড কেনে দুষ্কৃতীরা। নানা দুষ্কর্ম চালিয়ে সিম কার্ড নষ্ট করে দেয় তারা। রবিবার ধৃতদের মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের সাত দিনের পুলিশ হাজতের নির্দেশ দেয়।
|
কালনা নাগরিক মঞ্চের তরফে রবিবার শহরের রবীন্দ্রসদন ভবনে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে সাম্প্রতিক রাজ্যের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও শিক্ষক নিগ্রহে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সমস্ত রাজনৈতিক দলকে সংযত থাকার আহ্বানও জানানো হয়। এ ছাড়াও আলোচনায় উঠে আসে শহরের রাস্তায় শৌচাগার তৈরি, ঐতিহাসিক সমাজ বাড়িকে হেরিটেজ ভবনের স্বীকৃতি দেওয়া, কৃষিভিত্তিক শিল্প তৈরি, সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসাক্ষেত্রে দালালরাজ মুক্ত করা-সহ নানা বিষয়। আলোচনায় যোগ দেন অল ইন্ডিয়া লিগ্যাল ফোরামের সম্পাদক তথা অল ইন্ডিয়া বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, কালনার বিধায়ক তথা পুরসভার চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শান্তি চাল-সহ অনেকে। বিধায়ক বিশ্বজিৎবাবুর আশ্বাস, কালনায় মহিলা কলেজ, ভাগীরথীর উপর সেতু সহ নানান উন্নয়নমূলক কাজের জন্য উদ্যোগ শুরু হয়েছে। |