ডাক্তার চাই বাঘা যতীনে, দিতে নারাজ ন্যাশনাল |
স্বাস্থ্য অধিকর্তা নির্দেশ দিচ্ছেন, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে মেডিসিন ও সার্জারির কিছু ডাক্তার বাঘা যতীন হাসপাতালে গিয়ে রোগী দেখবেন, অস্ত্রোপচারও করবেন। আর ন্যাশনাল-কর্তৃপক্ষ মুখের উপরে জানিয়ে দিচ্ছেন, বাস্তবে সেটা অসম্ভব। কারণ তাঁদের নিজেদের প্রতিষ্ঠানেই চলছে চিকিৎসক-সঙ্কট! বুধবার স্বাস্থ্য ভবনে স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী ও স্বাস্থ্য (শিক্ষা) অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষেরা। বাঘা যতীনে পরিষেবার উন্নতি ঘটাতে তাকে ন্যাশনালের ‘স্যাটেলাইট ইউনিট’ হিসেবে গড়ে তোলার কথা উঠতেই মতবিরোধ দেখা দেয়। ন্যাশনালের অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁদের মেডিসিন ও সার্জারিতে চিকিৎসক খুব কম। ন্যাশনালের দায়িত্ব সামলে বাঘা যতীনে কাজ করা অসম্ভব। তিনি এই নিয়ে স্বাস্থ্যকর্তাদের আরও আলোচনা করতে বলেন। এর আগে ডাফরিন হাসপাতালকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের স্যাটেলাইট ইউনিট হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল। মেডিক্যাল থেকে স্ত্রীরোগ বিভাগের কিছু চিকিৎসক ডাফরিনের আউটডোরে কাজ করেন, অস্ত্রোপচারও করেন। স্বাস্থ্য অধিকর্তার কথায়, “একই ভাবে ন্যাশনাল থেকে মেডিসিন ও সার্জারির কিছু ডাক্তারকে বাঘা যতীনে আউটডোর করতে হবে, অস্ত্রোপচারও করতে হবে। বাকিরা ন্যাশনাল সামলাবেন।” রবীন্দ্রবাবুর কথায়, মেডিক্যালে স্ত্রীরোগ বিভাগে স্নাতকোত্তর ট্রেনির সংখ্যা বেশি বলে সেটা করা যায়। ন্যাশনালে পরিস্থিতি অন্য রকম। সেখানে এটা হবে না। বিদ্যাসাগর হাসপাতালেও পরিষেবা উন্নত করা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
|
মৃত প্রসূতি, স্বামীর হাতে চিকিৎসক খুন |
চিকিৎসার ‘গাফিলতি’তেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর গর্ভবতী স্ত্রীর। এই অভিযোগে অ্যানেস্থেটিস্টকে কুপিয়ে খুন করলেন স্বামী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন জেলায়। নিহত চিকিৎসকের নাম টি সেতুলক্ষ্মী। অভিযুক্ত স্বামী আর মহেশ ও তাঁর তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনের প্রতিবাদে আজ তামিলনাড়ু জুড়ে ধর্মঘট পালন করে রাজ্যের চিকিৎসকদের একটি সংগঠন। আগামী কালও ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে চিকিৎসকদের আর একটি সংগঠন। তুতিকোরিনের বাসিন্দা আর মহেশের স্ত্রী নিথ্যা ৬ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। শুক্রবার ‘আশঙ্কাজনক’ অবস্থায় স্ত্রীকে বিচ রোডের এমপ্লয়িজ স্টেট ইনসিওরেন্স কর্পোরেশন হাসপাতালে নিয়ে আসেন মহেশ। অ্যানেস্থেটিস্ট তখনই অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। সে সময় তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছিল। পথেই মারা যান নিথ্যা।
|
ছাদের চাঙড় খসল হাসপাতালে |
শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগের ছাদের একাংশ খসে পড়ল মঙ্গলবার দুপুরে। সে সময়ে এক্স-রে করাতে এসে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন এক রোগিনী। এরপর থেকেই ওই হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সমস্যায় পড়েন রোগীরা। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বুধবার পূর্ত বিভাগের কর্মীরা হাসপাতালের ওই বিভাগ পরিদর্শন করেন। ওই বিভাগটি কী ভাবে সারানো হবে সেই ব্যাপারে তাঁরা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত সান্যাল বলেন,“শতাব্দী প্রাচীন এই ভবনটি দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল দশা। সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে জানানো হয়েছে ওই বিভাগটি দ্রুত সারানোর জন্য। কারণ ওই বিভাগের যে হাল তাতে আতঙ্কের মধ্যে কাজ করছিলেন কর্মীরা।”
|
মেডিক্যালে অযথা পরীক্ষা, অভিযোগ |
চিকিৎসার জন্য আসা এইচআইভি পজিটিভ রোগীদের অযথা নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এমনই অভিযোগ তুলে সুপারের কাছে চিঠি দিল ওই রোগীদের নিয়ে তৈরি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনের অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজের অ্যান্টি রেট্রোভাল থেরাপি সেন্টার (এআরটিসি) থেকে কিছু নথিপত্র দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়েছে, ওই ধরনের রোগীদের কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য টাকা নেওয়া যাবে না। তবুও এক শ্রেণির চিকিৎসক ও কর্মচারী বলছেন, পরীক্ষার জন্য টাকা দিতে হবে। হাসপাতালের সুপার গদাধর মিত্র বলেন, “এইচআইভি আক্রান্তদের কাছ থেকে টাকা না নেওয়ার ব্যাপারে কোনও সরকারি নির্দেশিকা নেই। তবে আমরা পরীক্ষার জন্য তাঁদের থেকে সাধারণত কোনও অর্থ নিই না। কেন কয়েকটি বিভাগ ওঁদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে বা চাইছে, খোঁজ নিচ্ছি।”
|
উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ার দাবি |
তারাপীঠ এলাকায় কোনও উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই। তারাপীঠ থেকে দু’কিলোমিটার দূরে সাহাপুর গ্রামে তারাপীঠ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। অথচ তারাপীঠে কোনও উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই। উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ার জন্য পর্যটনমন্ত্রী রচপাল সিংহের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা-সহ তারাপীঠ মন্দির কমিটির সদস্যরা। তাঁদের দাবি নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তারাপীঠ এলাকায় সরকারি জমি কী পরিমাণ আছে তা জানতে মাপজোক শুরু হয়েছিল রামপুরহাট মহকুমাশাসকের নির্দেশে। মহকুমাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তব বলেন, “সম্প্রতি পর্যটন দফতর থেকে তারাপীঠ এলাকায় খাস জমি কত আছে সে সম্বন্ধে একটি রিপোর্ট চেয়েছে। আমরা পরিমাপ করার কাজ শুরু করেছি।”
|
মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালে বুধবার থেকে চালু হল হোমিওপ্যাথি বিভাগ। মানবাজার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিৎ সিংহ হাঁসদা বলেন, “জেলা থেকে এক জন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক মিলেছে। তবে ওষুধ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগবে। আপাতত চিকিৎসক প্রদ্যোৎ দাস নিজের উদ্যোগে প্রয়োজনীয় ওষুধ আনিয়েছেন।” পুরুলিয়া জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আজিজুর রহমান বলেন, “সম্প্রতি ১৭ জন চিকিৎসক জেলায় এসেছেন। তাঁদের নিয়োগ করা হচ্ছে।” |