হাসপাতালের বহির্বিভাগে আসা রোগী এবং আত্মীয়দের সুবিধার জন্য টিকিট কাউন্টারে বিশ্রামাগার চালু হল। বুধবার শিলিগুড়ি: জেলা হাসপাতালে তা উদ্বোধন করেন শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। তাঁর উদ্যোগেই প্রায় ৭ লক্ষ টাকা খরচে এসজেডিএ-এর তরফে ওই কাজ করা হয়েছে। ছিলেন দার্জিলিং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবীর ভৌমিক, অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তুলসী প্রামাণিক-সহ অনেকে। হাসপাতালের বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টারে যে পুরনো শেড রয়েছে রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়দের দীর্ঘ লাইন থাকায় সেখানে সকলের দাঁড়াবার জায়গা হত না। দুর্যোগে সমস্যায় পড়তে হত তাঁদের। বিধায়ক হওয়ার পর হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলে রুদ্রবাবুকে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানান রোগীর পরিবারের লোকেরাও। |
সে সময় তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন দ্রুত রোগী এবং তাদের লোকদের দাঁড়াবার জন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থা করতে পাশেই একটি শেড তৈরি করা হবে। তা ছাড়া বসার ব্যবস্থা, পানীয় জলের বন্দোবস্তও করার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান ছাড়াও রুদ্রবাবু বিধানসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “৭ লক্ষ টাকা খরচ করে এসজেডিএ-র তরফে শেড তৈরি হয়েছে। সেখানে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাসপাতালের অন্যান্য পরিকাঠামোর উন্নতির চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১০ শয্যার নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিট চালু করা হয়েছে। সেখানে শয্যা সংখ্যাও ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে। পাশাপাশি সেবক রোডে দুই মাইলে বর্তমানে টিবি হাসপাতালের জায়গায় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরির কাজও শুরু হবে।” সেখানে সিটি স্ক্যান, এমআরআই-সহ অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সুযোগ থাকবে বলে জানান রুদ্রবাবু। তিনি জানান, একটি ট্রাম সেন্টার, জরুরি বিভাগ সেখানে খোলা হবে। নতুন চালু নিউ বর্ন ইউনিটে অবশ্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে। ৩ জন মেডিক্যাল অফিসার থাকায় ২৪ ঘন্টা কাজের ক্ষেত্রে তাঁদের উপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ পড়ছে বলে অভিযোগ। ওই ইউনিটে ২৪ ঘন্টা চিকিৎসক নার্স থাকার কথা। ৩ জন চিকিৎসেকর মধ্যে এক জন কোনও কারণে না থাকলে অন্য জনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। তা ছাড়া গুরুতর অসুস্থ নয় এমন শিশুদেরও হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ ওই ইউনিটে রেফার করে দেওয়ায় সমস্যা বেড়েছে। তাতে শয্যা খালি না থাকায় গুরুতর অসুস্থ কোনও শিশুকে জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার অশোক বিশ্বাস। এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের নিয়ে এ দিন বৈঠকও হয়। ভারপ্রাপ্ত সুপার বলেন, “নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। তাতে সমস্যা হচ্ছে ঠিকই। চিকিৎসকদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হচ্ছে। সামান্য কারণে অসুস্থ শিশুদের নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিটে পাঠানোর আগে যাতে চিকিৎসকরা প্রয়োজনে ওই ইউনিটের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করেন সে জন্য বলা হবে।” |