নিজস্ব সংবাদদাতা • রাজগঞ্জ |
এক বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ১০ টি দোকান। এই ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে ব্যবসায়ীদের তরফে দাবি করা হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজগঞ্জ থানার পানিকৌড়ি অঞ্চলের মগরাডাঙ্গি বাজারে ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে শিলিগুড়ি থেকে দু’টি ও জলপাইগুড়ি থেকে একটি দমকলের ইঞ্জিন গিয়ে প্রায় দু’ঘন্টা ধরে চেষ্টা করার পর আগুন আয়ত্বে আসে। আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে দমকলের গাড়ি দেরিতে করে পৌঁছানোয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের একাংশ দমকলের কর্মীদের বিক্ষোভ দেখান। দমকলের উত্তরবঙ্গের ডেপুটি ডিরেক্টর উদয় অধিকার অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “শিলিগুড়ি থেকে মগরাডাঙ্গি ২৫ ও জলপাইগুড়ি থেকে ৪০ কিলোমিটার দূর। |
তার উপর রাস্তার অবস্থা ভাল নয়। সামান্য দেরি হয়েছে। খবর পাওয়া মাত্রেই ঘটনাস্থলে পৌঁছানো হয়েছে। আগুন লাগার ও ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” খবর পেয়ে রাজগঞ্জ পুলিশও ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ ও দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাত দুটো নাগাদ প্রথমে একটি দোকানে আগুন ধরে। পরে তা বাকি দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। ওই দোকানগুলির মধ্যে ছিল ৫ টি টিনের চালা ও কাঠের তৈরি দোকান ছিল। বাজারের উপরে একটি পাকা মুদি দোকানের ক্ষতি হয়েছে। দমকল পৌঁছনোর আগেই ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় কিছুটা আগুন আয়ত্বে আসে। পরে দমকলের গাড়ি পৌঁছে বাকি আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, একটি মুলিবাঁশের দোকান থেকে প্রথম আগুন দেখা যায়। বাজারের পাশের এক বাড়ির লোকজন প্রথম আগুন দেখেন। প্রচন্ড ঠান্ডা ও কুয়াশায় অনেকেই ঘটনার টের পাননি। ওই বাড়ির লোকেদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। রাতের দিকে ব্যবসায়ীরা কেউ দোকানে ঘুমোন না। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে। কেউ কোনও জিনিসপত্র রক্ষা করতে পারেননি। |