বিষমদ কাণ্ডে ধৃত ১৬ জন জামিনে মুক্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
চোলাই মদের কারবারে জড়িতরা জামিনে ছাড়া পেলেন। গত ১৪ ডিসেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্থি থানার সংগ্রামপুরের কয়েকটি ঠেকে বিষাক্ত মদ খেয়ে প্রায় ১৭২ জনের মৃত্যু হয়। তারপরই নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। ওই ঘটনার পর উস্থি থানা-সহ আশপাশের কয়েকটি থানা এলাকা থেকে চোলাই মদের কারবারে জড়িত সন্দেহে ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ধৃতদের জেলা হাজত হয়। বুধবার ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে অতিরিক্ত জেলা বিচারক সৌম্যব্রত দাসের এজলাসে ধৃতদের হাজির করানো হলে তাদের জামিন মঞ্জুর হয়ে যায় বলে আদালত সূত্রে খবর। চোলাই প্রতিরোধে রাজ্যে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে ক্ষেত্রে ধৃতদের জামিন হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন জেলার পুলিশ কর্তারা। এক পুলিশ কর্তা জানান, ধৃতরা জেল থেকে বেরিয়ে ফের চোলাই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়বে। সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। |
পুকুরে হাঁস চরা নিয়ে সংঘর্ষে জখম ১৮
নিজস্ব সংবাদদতা • ক্যানিং |
একজনের হাঁস অন্যের পুকুরে চরে বেড়ানোকে কেন্দ্র করে দু’টি পরিবারের সংঘর্ষে আহত হলেন ১৮ জন। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমার জীবনতলা থানার উত্তর দাহারানি গ্রামে। আহতদের মধ্যে ১৬ জনকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল ও মটেরদিঘি হাসপাতালের ভর্তি করানো হয়েছে। দু’জনকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় রাত পর্যন্কত কোনও পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের না করলেও সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেলে দাহারানি গ্রামের বাসিন্দা ভোলা হালদারের একটি হাঁস প্রতিবেশী বজলুর রহমান মোল্লার পুকুরে চরছিল। তা দেখে বজলুরের পরিবারের লোকেরা হাঁসটিকে ধরে রেখে দেয়। ভোলা হাঁস চাইতে বজলুরের বাড়িতে গেলে দু’পক্ষে বচসা বেধে যায়। তা থেকে দু’জনের বাড়ির লোকজনও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। ভোলা হালদারের পরিবারের ৫ জন ও বজলুরের পরিবারের ১৩ জন জখম হন। |
বোমা ফেটে জখম বালক
নিজস্ব সংবাদদাতা • নৈহাটি |
বোমা ফেটে জখম হয়েছে এক বালক। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটির গৌরীপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, সামশের আলি নামে বছর বারো’র ওই বালককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে বাড়ির সামনে ফাঁকা জায়গায় বাঁশ পোঁতার জন্য শাবল দিয়ে মাটি খুঁড়ছিল সামশের। মাটির নীচে রাখা একটি বোমা শাবলের ঘায়ে ফেটে যায়। সামশেরের মুখে, হাতে ও পায়ে আঘাত লাগে। এই ঘটনার পরেই বাড়ি ছেড়ে পালায় সামশেরদের বাড়িওয়ালা। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, বাড়িওয়ালা বা তার ছেলেরাই বোমা লুকিয়ে রেখেছিল। পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। |
ক্যানিংয়ে চাষিদের বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং |
ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়া, সারের উপর সরকারি ভর্তুকি তুলে নেওয়া এবং কীটনাশকের অত্যধিক দাম বাড়া নিয়ে রাজ্য জুড়ে কৃষক ধর্মঘটের দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে কৃষক সভার পক্ষ থেকে অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়। বস্তা বস্তা ধান, হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন কয়েকশো চাষি। বাসন্তীর বিধায়ক ও রাজ্যের প্রাক্তন সেচমন্ত্রী সুভাষ নস্কর বলেন, “চাষিরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এই ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন। কেন্দ্র ও রাজ্য যদি এ থেকে শিক্ষা না নেয় তাহলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে গড়ে তোলা হবে।” |
বসিরহাট বইমেলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ‘বসিরহাট মহকুমা সংস্কৃতি ও বইমেলা’। এ দিন এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহর পরিক্রমা করার পরে ২৩ তম বইমেলার উদ্বোধন করেন শিল্পী ও সাহিত্যিক ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভরত দাস, বসিরহাটের পুরপ্রধান কৃষ্ণা মজুমদার, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত শীল, কৃষি আধিকারিক উজ্জ্বল সরকার, মুরারীমোহন বরকন্দাজ, সাহিত্যিক পরেশ ভট্টাচার্য, অজয় চক্রবর্তী প্রমুখ। এ বার মেলায় নামীদামি প্রকাশকদের স্টল-সহ ১৪১টি স্টল থাকছে। কৃষি, ফুল, স্বাস্থ্য, সর্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। ১০ দিনের এই মেলায় বিভিন্ন দিনে লোকনৃত্য-সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলা উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল নাচ-গান, ক্যুইজ, আবৃত্তি, বয়স্কদের হাঁটা প্রতিযোগিতা, মিনি ম্যারাথন-সব বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। সফল প্রতিযোগীদের মেলা প্রাঙ্গণে পুরস্কৃত করা হয়। |
উকিলের ফোন নিয়ে এসপি-র হলফনামা তলব
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপারের সমস্যা আরও ঘোরালো হল। একটি মামলায় বেলঘরিয়া থানার তদন্তকারী অফিসারকে কলকাতা হাইকোর্টে হাজির করানোর ব্যাপারে পুলিশ সুপারকে ফোন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন সরকারি আইনজীবী। কিন্তু পুলিশ সুপার সেই ফোনের কথা বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি অসীম রায় ও বিচারপতি অসীম রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে অস্বীকার করেন। ডিভিশন বেঞ্চ তখন পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়, মুখে বললে হবে না। তাঁর বক্তব্য কাল, শুক্রবারের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। সরকারি আইনজীবীকেও হলফনামা পেশ করতে বলা হয়েছে। হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন বিশ্বনাথ দাস নামে এক ব্যক্তি। সেই আবেদনের বিচার করতে গিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ কেস ডায়েরিতে কিছু অসঙ্গতি পেয়েছিল। সেই ব্যাপারেই বেলঘরিয়া থানার তদন্তকারী অফিসারকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ওই বেঞ্চ। কিন্তু ওই দিন তিনি হাজির হননি। পুলিশ সুপার অবশ্য বুধবার সকালেই বেলঘরিয়া থানার আইসি এবং তদন্তকারী অফিসারকে নিয়ে হাইকোর্টে হাজির হন। আইসি যে ওই তদন্তকারীর হাজিরার ব্যাপারে সরকারি আইনজীবীর ফোন পেয়েও সেটিকে বিশেষ মূল্য দেননি, এ দিন তা প্রমাণিত হয়ে যায়। হাইকোর্টের নির্দেশ জানার পরেও তদন্তকারী অফিসার যে আদালতে ওই মামলার কেস ডায়েরি পাঠাননি, পরিষ্কার হয়ে যায় তা-ও। হাইকোর্টর নির্দেশ জানার পরেও তাঁরা তা পালন করেননি কেন, আইসি এবং তদন্তকারী অফিসারকেও হলফনামা দিয়ে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। |
উপাচার্য ঘেরাও
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বারাসতের পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার উপাচার্যকে কয়েক ঘণ্টা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। |
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক নির্মাণকর্মীর। বুধবার, আগরপাড়ায়। মৃতের নাম অমল হালদার (৫২)। পুলিশ জানায়, এ দিন একটি বাড়ির দোতলায় ঢালাইয়ের কাজের জন্য লোহার রড বাঁধছিলেন অমলবাবু। তখনই হাইটেনশন তারে রড ঠেকে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। |