|
|
|
|
আজ ভোটার-তালিকা প্রকাশ জেলায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আজ, বৃহস্পতিবার বুথে বুথে সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে। মানুষজন বুথে গিয়ে সেই তালিকা দেখতে পারবেন। পাশাপাশি, ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মহকুমাশাসকের অফিসে গিয়ে নতুন ভোটারেরা নাম তোলার আবেদন জানাতে পারবেন। কারও কোনও সংশোধনের প্রয়োজন থাকলেও আবেদন জানানো যাবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের নির্বাচন সংক্রান্ত আধিকারিক (ওসি/ ইলেকশন) পার্থ চক্রবর্তী জানান, এ বার সব থেকে বেশি জোর দিতে চাওয়া হচ্ছে নতুন ভোটারদের উপরে। যাঁদের বয়স ১৮ বা ১৯ তাঁরা যাতে ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদন জানাতে পারেন, সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব নতুন ভোটারদের হাতে সচিত্র পরিচয়পত্রও তুলে দেওয়া হবে।
মে মাসে নির্বাচনের পর থেকেই ফের ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছিল। নতুন ভোটারদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা, পুরনো ভোটারদের সচিত্র পরিচয়পত্রে ভুলত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করা, নাম বাতিল বা নাম স্থানান্তর--এ সব নিয়ে বহু আবেদনই জমা পড়েছিল। সেই সব আবেদনের ভিত্তিতেই ভোটার তালিকা সংশোধন করা হয়েছে। এ বার সেই তালিকাই প্রকাশ করা হচ্ছে। যা বৃহস্পতিবার থেকে ৭ দিন বুথে টাঙানো থাকবে। সেখানে থাকবেন বুথের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরাও। ভোটাররা এসে দেখে নিতে পারবেন, তাঁদের নাম রয়েছে কি না, ত্রুটি সংশোধন হয়েছে কি না, অন্য বুথের ভোটার হতে চেয়ে আবেদন করে থাকলে তা করা হয়েছে কি না। যদি নাম না উঠে থাকে বা সংশোধন না হয়সে ক্ষেত্রে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মহকুমাশাসকের কাছে ফের আবেদনের সুযোগ থাকছে। এ ছাড়াও এই সময়ের মধ্যে যে সব কিশোর-কিশোরী ১৮ বছরে পা দিলেন, তাঁরাও ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। ২৫ জানুয়ারি জাতীয় ভোটার দিবস। তার আগেই তাঁদের প্রত্যেকের হাতে সচিত্র পরিচয়পত্রও তুলে দেওয়া হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। এ বার জাতীয় ভোটার দিবস পালনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন বেশ কয়েকটি অভিনব পরিকল্পনাও করেছে। যেখানে নির্বাচন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ কত জরুরি--সে সম্বন্ধে মানুষকে সচেতন করতে প্রতিযোগিতারও ব্যবস্থা থাকছে। প্রতিযোগিতা হবে ব্লক, পুরসভা ও জেলা-স্তরে। জেলাস্তরের প্রথম স্থানাধিকারীদের নিয়ে রাজ্যস্তরেও প্রতিযোগিতা হবে। তিন ধরনের প্রতিযোগিতা থাকছে। প্রবন্ধ লেখা, বিতর্ক ও ক্যুইজ। প্রবন্ধের বিষয়, ‘পার্টিসিপেশন অব ইউথ ইন ইলেকটোরাল প্রসেস’। বাংলা বা ইংরেজিতে ৩ হাজার শব্দের প্রবন্ধ রচনার জন্য সময় থাকবে এক ঘণ্টা। বিতর্কের বিষয় হচ্ছে, ‘ইন দ্য ওপিনিয়ন অব দ্য হাউস, দ্য ইলেকশন কমিশন অব ইন্ডিয়া ক্যান এনসিওর ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন’। ক্যুইজে নির্বাচন ছাড়াও বিভিন্ন সাধারণ বিষয়ও থাকবে। ব্লক ও পুরসভা স্তরে ৬ জানুয়ারির মধ্যে এই প্রতিযোগিতা শেষ হবে। জেলা-স্তরে ১৬-১৭ জানুয়ারির মধ্যে। এই প্রক্রিয়া সফল করতে জেলা জুড়ে জোরদার প্রচার চালানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনে প্রতিটি মানুষের অংশগ্রহণ যে অতি জরুরি সে নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেই প্রতিযোগিতা আয়োজনের পরিকল্পনা কমিশনের। |
|
|
|
|
|