ডনের দেশে জোড়া বরাত জুটতে পারে বাংলার
স্ট্রেলিয়ায় সিনিয়রদের যত বিপর্যয় তাড়া করছে, তত দেশে বসে থাকা তরুণ ক্রিকেটারদের বাজারদর উঠছে। ভারতীয় ক্রিকেটমহলে অনেকেই যেমন প্রহর গুনতে শুরু করে দিয়েছেন, কবে টেস্ট সিরিজ শেষ হবে আর ত্রিদেশীয় এক দিনের টুর্নামেন্ট শুরু হবে। তরুণ রক্ত আমদানি করে যদি টিমের শ্রী কিছুটা ফেরানো যায়।
তারুণ্যের এই স্লোগানে আচমকা উজ্জ্বল হয়ে উঠতে পারে বঙ্গ ক্রিকেট। রঞ্জি মরসুমে একেবারে শেষ মুহূর্তে ঘুরে দাঁড়িয়ে অবনমন বাঁচানোর থেকে যা কোনও অংশে রোমহর্ষক হবে না। সৌরভ-পরবর্তী যুগে এই প্রথম কোনও ভারতীয় দল নির্বাচিত হতে পারে যেখানে বাংলা থেকে দু’জন ক্রিকেটার একই দলে ঢুকে পড়লেন। সৌরভের আমলে একটা সময়ের জন্য ভারতীয় দলের উইকেটকিপার ছিলেন দীপ দাশগুপ্ত। তার আগে খুব কম সময়ের জন্য ছিলেন সাবা করিম বা দেবাঙ্গ গাঁধী। ২০০৮-এ সৌরভ অবসর নেওয়ার পর কখনও টেস্ট টিমে থেকেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। কখনও ওয়ান ডে এবং টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ পেয়েছেন মনোজ তিওয়ারি বা অশোক দিন্দা। কিন্তু এক সঙ্গে বাংলার দুই ক্রিকেটার সফররত ভারতীয় দলের হয়ে একই বিমান ধরতে যাচ্ছেন এমন ছবি বহুকাল ওঠেনি। এ বারে রাতারাতি বিরাট কোনও অঘটন না ঘটলে সেই ছবি উঠতে পারে। ডনের দেশে একসঙ্গে ত্রিদেশীয় এক দিনের সিরিজের ভিসা পেয়ে যেতে পারেন মনোজ এবং দিন্দা। মনোজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শেষ এক দিনের ম্যাচে সেঞ্চুরি করে তাঁকে নিয়ে ওঠা যাবতীয় কথাবার্তা থামিয়ে দিয়েছেন। আর দিন্দা এ বারের রঞ্জি ট্রফিতে ছয় ম্যাচ থেকে তুলেছেন ৩৭ উইকেট। চার বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট। রঞ্জিতে উইকেটশিকারের তালিকায় তিনি দু’নম্বরে। জাতীয় নির্বাচকদের মনে হতে শুরু করেছে, দিন্দার আর একটা সুযোগ প্রাপ্য। বিশেষ করে তিনি রঞ্জিতে শেষের দু’তিনটে ম্যাচে যে রকম আগুনে পেস করেছেন এবং যেখানে বরুণ অ্যারনের চোট রয়েছে। অ্যারনের জায়গায় জোরে বল করতে পারে এমন কাউকে দরকার পড়বে।
বাংলার দুই তরুণ এ দিন স্থানীয় ক্রিকেট খেলতে ব্যস্ত ছিলেন সল্টলেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে। ওয়ান ডে টিমের সম্ভাবনা নিয়ে কথা তুলতে দু’জনেই আকাশের দিকে তাকালেন। যেন বোঝাতে চাইলেন, “ঈশ্বর যদি চান...!” দিন্দা আফসোস করলেন, “এ বার আমার লক্ষ ছিল রঞ্জিতে সর্বোচ্চ উইকেট পাওয়া। নক আউট ম্যাচ পেয়ে গেলে হয়তো হয়ে যেত।”
এখন পর্যন্ত যা ঠিক আছে, পার্থে ১৩-১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় তৃতীয় টেস্টের পর ত্রিদেশীয় এক দিনের সিরিজের দল নির্বাচনী সভা বসবে। ০-৩ হয়ে গেলে নিশ্চিত থাকা যায়, স্মরণকালের মধ্যে সবথেকে বিস্ফোরক সভা হতে যাচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহলে কেউ কেউ এখন থেকেই যার নাম দিয়ে দিচ্ছেন, ‘সাইক্লোন সভা’। এলোপাথাড়ি ঝড় উঠে অনেক বড় বড় বিল্ডিংও তখন ধসিয়ে দিতে পারে।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি? তাঁর মুকুটও কি শঙ্কার মধ্যে পড়তে পারে?
সিডনি টেস্টের দ্বিতীয় দিনে দাঁড়িয়েই হয়তো নিশ্চিত করে বলার সময় আসেনি। কিন্তু সাইক্লোনের সামনে আর কার বিমা করা থাকে!




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.