|
|
|
|
সিপিএম নেতাদের নামের ফলক তুলে দিল তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাঁতন |
‘পরিবর্তন’ এসেছে। তাই স্কুলের বৃত্তিমূলক শিক্ষা ভবনের দেওয়ালে গাঁথা সিপিএম নেতাদের নাম সম্বলিত ফলক (ভবনের উদ্বোধক ও অতিথি হিসাবে) ভেঙে ফেলে দিল তৃণমূলের পরিচালন সমিতি। বুধবার ব্রাহ্মণখলিসা স্বরূপানন্দ আদর্শ বিদ্যাপীঠের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় দাঁতন-২ ব্লকের গড়হরিপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন ভবন তৈরির পরে পুরনো ভবনটিকে বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও ছাত্রাবাসের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়। ২০০৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর স্কুলে বৃত্তিমূলক শিক্ষার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন আহ্বায়ক সদস্য ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সদস্য তথা সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অপরেশ ভট্টাচার্য। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন ও বর্তমান পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তারাপদ গিরি। এই দু’জন ছাড়াও ফলকে পরিচালন সমিতির সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র গিরি, সভাপতি হরেকৃষ্ণ নায়ক, প্রধানশিক্ষক দেবাশিস বেরার নাম ছিল। দীর্ঘ প্রায় তিন দশক পরে সম্প্রতি স্কুলের পরিচালন সমিতিতে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। মঙ্গলবার পরিচালন সমিতির বৈঠকে ওই ফলক সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো এ দিন যুব তৃণমূল নেতা প্রদীপ সাউ ও অভিভাবক প্রতিনিধি-সদস্য শেখ ইদ্রিস ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে লোক দিয়ে ফলক ভাঙান। স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক মিহিরকুমার প্রধান ও পরিচালন সমিতির শিক্ষক প্রতিনিধি তথা তৃণমূলের শিক্ষা সেলের নেতা মানিক ঘোড়ই অবশ্য এই সিদ্ধান্তে তাঁদের মত ছিল না বলে দাবি করেছেন। ঘটনার নিন্দা করে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক শৈবাল গিরি বলেন, “সিপিএমের কায়দায় যাঁরা এই সব করছেন, দল তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। দাঁড়িয়ে থেকে ওই ফলক লাগিয়ে দেব আমরা।” অভিযুক্ত পরিচালন সমিতির সম্পাদক শেখ মোমিন আলি, যুব তৃণমূল নেতা প্রদীপ সাউদের অবশ্য বক্তব্য, “এলাকার যাঁদের জমি ও শ্রমে এই স্কুল গড়ে উঠেছে, তাঁদের সম্মান জানানোর কথা কোনও দিন ভাবেনি সিপিএম। রাজনীতির স্বার্থে ওই ফলক ও ছবি টাঙানো হয়েছিল। আমরা তাই ওই জায়গায় স্কুলের জন্য যাঁরা দান করেছেন, তাঁদের তালিকা টাঙাব বলে ঠিক করেছি।” |
|
|
|
|
|