টুকরো খবর
ঝোপ থেকে উদ্ধার গুলি
শালবনির গোদাপিয়াশাল স্কুল-ঘেঁষা ঝোপের মধ্যে মিলল ৭ রাউন্ড গুলি। বুধবার ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে ঢোকার পরেই গুলির খবর ছড়িয়ে পড়ে। হঠাৎ কী ভাবে ওখানে গুলি এল? তা নিয়ে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় শালবনি থানায়। পুলিশ গিয়ে ৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এত দিন কারও বাড়িতে এই গুলি রাখা ছিল। চার দিকে তল্লাশি চলছে দেখে রাতের অন্ধাকারে ঝোপে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। শালবনি, কেশপুর, গড়বেতা-সহ বিভিন্ন এলাকায় এ রকম প্রচুর বেআইনি অস্ত্র ও গুলি এখনও অনেকের কাছেই রয়েছে বলে মনে করছে জেলা পুলিশ। রাজ্যে পালাবদলের পরে এ সব এলাকা থেকে অনেক গুলি-বন্দুক উদ্ধারও হয়েছিল। সম্প্রতি ফের পুলিশের পক্ষ থেকে গোপনে প্রচার চালানো হয়েছে, কারও কাছে এই ধরনের বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র বা সরঞ্জাম থাকলে তাঁরা যেন তা বাইরে ফেলে দেন। খবর পেলেই পুলিশ তা উদ্ধার করে নেবে। কিন্তু বেআইনি অস্ত্র-সমেত ধরা পড়লে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। তাতেই কাজ হতে শুরু করেছে বলে মনে করছে পুলিশের একাংশ। পুলিশের এক পদস্থ কর্তার কথায়, “এ ভাবে যত বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয় ততই ভাল। না হলে দুষ্কর্ম বাড়ার এবং বড়সড় গোলমালের আশঙ্কা কমবে না।”

প্রদেশে-প্রদেশে সখ্যের নবস্বাক্ষর
উৎসবের মঞ্চে মণিপুরের ঢোল চলম। বুধবারই শেষ হল নৃত্যোৎসব।
তবে, হস্তশিল্প প্রদর্শনী চলবে আজও। ছবি তুলেছেন কিংশুক আইচ।
কনকনে ঠান্ডা, তবু বিদ্যাসাগর স্মৃতিমন্দিরের লোক উৎসব-এর মুক্তমঞ্চ ঘিরে উপচে পড়ছে ভিড়। এক প্রদেশের শিল্পীরা অনুষ্ঠান শেষে মঞ্চ থেকে নামার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এসে পড়ছেন অন্য প্রদেশের কুশীলবরা। দু’দিনই জমজমাট লোক উৎসব প্রাঙ্গণ। স্মৃতিমন্দির চত্বরে চারি দিকে বড় বড় গাছ। এক কোণে মুক্তমঞ্চ। তার সামনে তৈরি হয়েছে তুলসীতলা। আর সেখানেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বেলে উৎসবের উদ্বোধন করেন কোনও এক ‘কেউকেটা’ নন, শহরেরই নৃত্যশিল্পীরা। উদ্বোধন থেকেই ব্যতিক্রমী এই উৎসব। ঠিক শেষ কবে গোটা দেশের লোকশিল্পীরা এ ধরনের অনুষ্ঠান করতে শহরে এসেছেন, তা মনে করতে পারছেন না কেউই। শুরু উত্তরপ্রদেশের ধেড়িয়া নৃত্য দিয়ে। মাথায় আলো নিয়ে মেয়েদের নাচ। শুরু থেকেই দর্শকদের মাতিয়ে দিল। সেই শুরু। পরের সব দলের লোকনৃত্যও দর্শকদের এক ধরনের ঘোরের মধ্যে নিয়ে গিয়েছে। এক প্রদেশের নৃত্য মুগ্ধ হয়ে দেখেছেন অন্য প্রদেশের শিল্পীরাও। পঞ্জাবের গুরুদাসপুরের হরমনপ্রীত সিংহ এসেছেন ভাংড়া নাচের দল নিয়ে। উৎসবের আয়োজন নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, “বহুত বড়িয়া, হর সাল হোনা চাহিয়ে।” মণিপুরের সামপোম্বা বা পুরুলিয়ার কোটশিলা থেকে আসা অর্জুন মাহাতোর গলাতেও মধ্যপ্রদেশের নিশা রাওয়াতদের প্রশংসা। নৃত্যে নান্দনিক শিল্প-সৃষ্টির পাশাপাশিই শারীরিক পটুতাও যে ভীষণ জরুরিতার স্বাক্ষর রাখছেন মণিপুরের থাংটা, ঢোল চলম, পুং চলম বা পুরুলিয়ার ছৌ নাচের শিল্পীরা। দর্শকদের মন কেড়েছে সিকিমের ‘সিংহি ছাম’ বা সিংহের নাচও।

পুরীর পথে দুর্ঘটনা, আহত ১৪ তীর্থযাত্রী
গঙ্গাসাগর মেলা থেকে পুরীর পথে দুর্ঘটনায় পড়ল তীর্থযাত্রীদের একটি বাস। আহত হলেন ১৪ জন। মঙ্গলবার রাত একটা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের কাছে বাঁশগেড়িয়ায় একটি গর্তে পড়ে বাসটি উল্টে যায়। রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণেই দুর্ঘটনা বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে, পুলিশের বক্তব্য, বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারানোর ফলেই ঘটে দুর্ঘটনা। আহতদের প্রথমে মকরামপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতরা সবাই চিকিৎসাধীন। তবে কারও আঘাত গুরুতর নয়। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি বাসে ৫৫ জন তীর্থযাত্রী গঙ্গাসাগর মেলা থেকে পুরী যাচ্ছিলেন। পরে পুরী থেকে ফের তাঁদের গঙ্গাসাগর মেলায় পৌঁছনোর কথা ছিল। মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগড়ে ঘটে দুর্ঘটনা। রাতেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন নারায়ণগড় থানার ওসি সুজন রায়। স্থানীয়দের সাহায্যে পুলিশকর্মীরাই উদ্ধার-কাজ শুরু করেন। রাতে তড়িঘড়ি অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া যায়নি। তাই, পুলিশের গাড়িতেই আহত ১৪ জনকে মকরামপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁদের খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তীর্থযাত্রীদের অধিকাংশই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।

লাঠিচার্জের প্রতিবাদ
এসএসসি-র ফর্ম তুলতে আসা ছাত্রছাত্রীদের উপরে মেদিনীপুর শহরে মঙ্গলবার পুলিশের লাঠিচার্জের যে ঘটনা ঘটেছিল, তার প্রতিবাদে সরব হল ‘এসএসসি পরীক্ষার্থী সংগ্রাম কমিটি’। কমিটির অভিযোগ, ছাত্রছাত্রীদের সুষ্ঠু ভাবে ফর্ম দেওয়ার ব্যবস্থা না-করে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন অত্যাচারের পথ নিয়েছে। পুলিশ বেপরোয়া লাঠি চালিয়েছে। রেহাই পাননি পথচলতি সাধারণ মানুষ এবং হকাররা। কমিটির যুগ্ম সম্পাদক দীপক পাত্র বলেন, “ধিক্কারজনক ঘটনা। আমরা তীব্র নিন্দা করছি।” বুধবার অবশ্য শহরে ফর্ম বিলি নিয়ে নতুন করে কোনও সমস্যা হয়নি।

শিল্পতালুকে উত্তেজনা
কারখানায় কাজ দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন জমিহারা মানুষজন। বুধবার খড়্গপুর রূপনারায়ণপুর এলাকায় এই বিক্ষোভের জেরে এক সময়ে উত্তেজনা ছড়ায়। শাসক-বিরোধী, দু’পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। দুই বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বেই এ দিন বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁদের জমিতেই কারখানা গড়ে উঠেছে। জমিহারা পরিবারের এক জনকে কারখানায় চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিলেও সেই প্রতিশ্রুতি মানা হচ্ছে না।

নতুন কার্যালয়
স্টেশন চত্বরে গাড়ি দাঁড় করানোর ব্যবস্থা দেখাশোনার জন্য খড়্গপুর জিআরপি কার্যালয়ের পাশে সম্প্রতি একটি নতুন কার্যালয় চালু হয়েছে। এসআরপি শঙ্কর চক্রবর্তী জানান, খড়্গপুর স্টেশনে ঢোকার মুখে এবং সংলগ্ন এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, স্টেশন চত্বরে ‘পার্কিং’ ব্যবস্থার দেখভালের জন্য এক জন ইন্সপেক্টর ও দু’জন কনস্টেবলকে নিয়ে চালু হয়েছে এই কার্যালয়। আগে আরপিএফ জওয়ানেরা এর দেখাশোনা করতেন।

স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তী
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে খড়্গপুরের নিমপুরা আর্য বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ প্রবোধ পাণ্ডা, খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সুদত্ত চৌধুরী, খড়্গপুরের পুরপ্রধান জহর পাল। অনুষ্ঠানের প্রথম দিন স্কুলের কম্পিউটার ল্যাব ও ‘অডিওভিসুয়াল’ কক্ষের উদ্বোধন হয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.