দিন সাতেক আগে বৌবাজারের এক সোনার দোকানে ডাকাতির মহড়া দিয়ে গিয়েছিল চার জন। দোকানে ফেলে রেখে গিয়েছিল একটি ব্যাগ। সেটাই কাল হল। বুধবার সন্ধ্যায় তারা ফের এসেছিল বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে। কিন্তু এ বার এক দোকান-মালিক ও তাঁর এক কর্মীর তৎপরতায় ধরা পড়ে গেল দুই দুষ্কৃতী। অন্য দুই দুষ্কৃতী পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে।
পুলিশ জানায়, এ দিন সন্ধ্যা সওয়া ছ’টা নাগাদ ওই দোকানে ডাকাতি করতে এসেছিল চার জনের একটি দল। তাদের মধ্যে এক তরুণীও ছিল। দলের দু’জন ধরা পড়ে গিয়েছে দেখে ওই তরুণী ও তার এক সঙ্গী ভিড়ে গা ঢাকা দেয়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম রিয়াজুল মণ্ডল এবং কালু মল্লিক। তাদের কাছ থেকে চারটি রিভলভার, চার রাউন্ড গুলি এবং একটি বোমা মিলেছে।
কী ভাবে ধরা পড়ল ওই দুই দুষ্কৃতী? দোকান মালিকের ছেলে সন্দীপ সাহা জানান, গয়না কেনার ছুতোয় ওই দলটি দিন সাতেক আগে তাঁদের দোকানে ঢুকেছিল। তবে কেনার চেয়ে সোনার গয়না দেখাতেই তাদের উৎসাহ ছিল বেশি। তা দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়েছিল। দলটি চলে যাওয়ার পরে সন্দীপবাবু এবং তাঁর বাবা দুলাল সাহা দেখেন, একটি ভ্যানিটি ব্যাগ দোকানে পড়ে রয়েছে। ব্যাগ ঘেঁটে একটি চিরকুট পান তাঁরা। তাতে লেখা, ‘চেঁচালে মেরে ফেলব। কম দিলে আবার আসব’। কিন্তু ঘটনাটির কথা তাঁরা মুচিপাড়া থানায় জানাননি।
পুলিশ জানায়, এ দিন দোকানের উল্টো দিকের ফুটপাথে এক বন্ধুর দোকানে গিয়েছিলেন সন্দীপবাবু। সেখানে বসে তিনি দেখতে পান, দিন সাতেক আগে যে দলটি তাঁদের দোকানে এসেছিল, তারা ফের দোকানের সামনে ঘোরাফেরা করছে। মোবাইলে সন্দীপবাবু সে কথা তাঁর বাবাকে জানান। তাঁর বাবা অভিজিৎ ঘোষ নামে এক কর্মীকে নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক হয়েছিলেন। দুই দুষ্কৃতী রিভলভার-সহ দোকানে ঢুকতেই তাঁরা তাদের জাপটে জড়িয়ে ধরে আশপাশের দোকানদারদের চেঁচিয়ে ডেকে আনেন। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। |