ব্রাজিল নয়, আর্জেন্তিনার রঙেই সাজবে শহর!
কলকাতাকে লন্ডনে ‘রূপান্তরিত’ করতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌন্দর্যায়নের নানা পরিকল্পনার পাশাপাশি তিনি আগে জানিয়েছিলেন, মহানগরীর ঘরবাড়ি নীল-সাদা রং করতে চান।
এ বার কলকাতার মেয়রও জানালেন, শহরে পুরসভার পার্কগুলিতেও থাকবে নীল-সাদারই ছোঁয়া। বুধবার কলকাতার সৌন্দর্যায়ন নিয়ে পুরসভায় বৈঠকে বসেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার, পুর-কমিশনার অর্ণব রায় এবং পুরসভায় বিভিন্ন বিভাগের কন্ট্রোলিং অফিসাররা।
বৈঠকের পর শোভনবাবু জানান, পুরসভার পার্কগুলিতে নীল-সাদা রং হবে। হরিশ পার্কে এ দিন থেকেই কাজ শুরু হয়েছে। কার্জন পার্ক, মহম্মদ আলি পার্ক, সার্দান অ্যাভিনিউ বুলেভার্ডেও কয়েকদিনের মধ্যেই রং শুরু হবে। শোভনবাবু বলেন, “রাস্তার আলো, ফুটপাথ, পুরসভার আর্বজনার বাক্স, পার্কসবেরই সৌন্দর্যায়ন হবে। এ জন্য এখন ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অধিকাংশ কাজ শেষ করতে চায় পুরসভা।” মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, “কলকাতায় পুরসভার প্রায় ৭০০টি পার্ক রয়েছে। একই রং থাকায় তা সহজেই চিহ্নিত করা যাবে।” দেবাশিসবাবু আরও বলেন, “শহরে মনীষীদের যে সব মূর্তি আছে, সেগুলি নোংরা হয়ে পড়ে থাকে। এটা মুখ্যমন্ত্রী পছন্দ করেন না। পুরসভা একটি বেসরকারি সংস্থাকে নিয়োগ করছে যারা মূর্তিগুলি মাসে একবার করে পরিষ্কার করবে।”
এ দিনের বৈঠকে আরও কয়েকটি রাস্তায় ডিভাইডার তৈরির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। আনোয়ার শাহ রোড, শরৎ বসু রোড, হসপিটাল রোড, সিআইটি রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়েও নতুন ধাঁচের ডিভাইডার তৈরি হবে। দেবাশিসবাবু জানিয়েছেন, ওই সমস্ত ডিভাইডারে পোঁতা গাছগুলিতে জল দিতে এ বার কয়েকটি ‘স্প্রিঙ্ক্লার’ গাড়ি ভাড়া নেবে পুরসভা।
মেয়র জানিয়েছেন, রাতের শহরকে আরও ‘সুন্দর’ করতে সিআইটি রোড, এস এন ব্যানার্জি রোড, বেলেঘাটা রোড, উল্টোডাঙা রোড, লেনিন সরণি, রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের মতো রাস্তাগুলিতে ‘ডিজাইনার’ আলো লাগানো হবে। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেই গঙ্গার তীরে আর্মেনিয়ান ঘাট এবং বাজেকদমতলা ঘাটের মধ্যে ২০০ মিটার এলাকায় সৌন্দর্যায়নের কাজ শেষ হবে। |