প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব মানের করে গড়ে তোলার জন্য বিশিষ্ট অধ্যাপকদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার তাঁদের সুপারিশ মেনে ওই প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার ব্যাপারেও ইতিবাচক ইঙ্গিত দিলেন তিনি। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি প্রেসিডেন্সিকে বিশেষ মর্যাদা (স্পেশ্যাল স্টেটাস) দেওয়ার পক্ষপাতী। এই ব্যাপারে আলোচনাও চলছে। মেন্টর গ্রুপের ধারণা, বিশেষ মর্যাদা পেলে আর্থিক সুবিধা দিয়ে প্রেসিডেন্সিতে সেরা শিক্ষক আনার পথ প্রশস্ত হবে।
মেন্টর গ্রুপের চেয়ারম্যান সুগত বসু গত শুক্রবার রাজ্য উচ্চশিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সুগত মারজিতের সঙ্গে এই নিয়ে বৈঠক করেন। পরে সুগত বসু জানান, প্রেসিডেন্সিকে উৎকর্ষ কেন্দ্রের মর্যাদা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হবে। এতে বিশেষ আর্থিক সুবিধা দিয়ে প্রেসিডেন্সিতে সেরা শিক্ষক-শিক্ষিকা আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছে মেন্টর গ্রুপ।
মুখ্যমন্ত্রী বুধবার মহাকরণে বলেন, “প্রেসিডেন্সির বিশেষ মর্যাদা পাওয়া উচিত। এই নিয়ে আলোচনা চলছে।” প্রেসিডেন্সিতে চারটি ‘ডিস্টিংগুইশড চেয়ার প্রফেসরশিপ’-এর কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। সেগুলি হল আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু প্রফেসর অফ ন্যাচারাল সায়েন্স, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রফেসর অফ হিউম্যানিটিজ, লিটারেচার অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজ, বিবেকানন্দ প্রফেসর অফ হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড ফিলজফি, সুভাষচন্দ্র বসু প্রফেসর অফ ইকনমিক্স, হিস্ট্রি অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স। এগুলির জন্য মেন্টর গ্রুপের সুপারিশ ছিল। কাজী নজরুল ইসলামের নামে আরও একটি পদ সৃষ্টি করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্য সরকার যে প্রেসিডেন্সিকে বিশেষ মর্যাদা দিতে রাজি, চেয়ার প্রফেসরশিপের সিদ্ধান্ত ঘোষণা তারই প্রমাণ বলে মনে করছেন মেন্টর গ্রুপের চেয়ারম্যান। এ দিন তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্সিকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। চেয়ার প্রফেসরশিপের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা তিনি করেছেন। অন্যান্য ব্যাপারে উচ্চশিক্ষা ও অর্থ দফতরের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে।” প্রেসিডেন্সির জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজে রাজ্যের সায় মিলবে বলেই আশা করছেন সুগত বসু। তিনি বলেন, “মেন্টর গ্রুপের প্রথম দফার সুপারিশে চেয়ার প্রফেসরশিপের কথা বলা হয়েছিল। রাজ্য সরকার তা মেনে নিয়েছে। অন্যান্য সুপারিশের ব্যাপারেও রাজ্যের মনোভাব ইতিবাচক বলেই মনে হয়।”
১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়ার কথা। তার আগে এই বিষয়গুলি স্পষ্ট হয়ে গেলে বিজ্ঞাপনেও তার প্রতিফলন ঘটানো যাবে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ। |