গাঁটের কড়িতে ফুটবলার গড়ছে ‘আপা’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আমোদপুর |
সরকারি সাহায্যের কোনও বালাই নেই। নেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতাও। তাতেও পরোয়া নাস্তি। স্রেফ নিজেদের গাঁটের কড়ি খরচ করে ফুটবলার গড়ছে আমোদপুর প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংক্ষেপে ‘আপা’।
গ্রামীণ ফুটবল খেলা পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে প্রশান্ত কুমার মণ্ডল এই সংস্থা তৈরি করেন। তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তারপর থেকে প্রতিবছরই ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে চলেছেন আপা’র সদস্যরা। এই প্রতিযোগিতার জন্যই বীরভূম জেলার অনেক এলাকায় ফুটবলার উঠে এসেছে। জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফুটবল খেলা। বছর চারেক ধরে চালু হয়েছে আপা’র ফুটবল কোচিং সেন্টারও। বর্তমানে সেখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ৬০ জন খুদে ফুটবলার। |
|
কোচের কড়া নজরে খুদেদের অনুশীলন। ছবি: সোমনাথ মুস্তাফি। |
বিনা পারিশ্রমিকে সপ্তাহে দু’দিন প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের ‘সি’ লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রশিক্ষক প্রদীপ সেন। সপ্তাহের বাকি দিনগুলি প্রশিক্ষণ দেন প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তা অরুণ রায় এবং প্রিয়নাথ প্রধান। কর্তৃপক্ষের দাবি, সেখান থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফুটবলারেরা জেলার বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রশংসা অর্জন করেছে। স্থানীয় কুচুইঘাটার বিশ্বজিৎ ভাণ্ডারি, ভ্রমরকোলের শুভজিৎ মণ্ডলরা জানায়, “স্যারেদের নির্দেশমতো খেলে যখন দর্শকদের হাততালি পাই, তখন মনে হয় প্রশিক্ষণের সুযোগ না পেলে আমাদের ভাগ্যে এমনটা জুটতনা।’’ প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, ‘‘উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং সরঞ্জামের অভাবে গ্রামাঞ্চলের বহু প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পায় না। তাই বছরে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে কোচিং সেন্টার চালাচ্ছি। কোন সরকারি কিংবা বেসরকারি সাহায্যও মেলেনা। নিজেদের গাঁটের কড়ি এবং শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতাই আমাদের একমাত্র ভরসা।” তিনি জানান, সাঁইথিয়া ব্লকের বিডিও উৎপল চক্রবর্তী নানাভাবে আমাদের উৎসাহ দেন। |
|