|
|
|
|
রামপুরহাটে গমের স্লিপ বিলি নিয়ে বিবাদ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
সরকারি অনুদানের (জিআর) গম বিলির স্লিপ দেওয়াকে ঘিরে বিবাদের জেরে এক মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল রামপুরহাটের উপ-পুরপ্রধান, তৃণমূলের আব্বাস হোসেনের বিরুদ্ধে। একই অভিযোগ উঠেছে তাঁর দাদা আরশাদ হোসেনের বিরুদ্ধেও। রামপুরহাট পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক মহিলা মঙ্গলবার রাতে পুলিশের কাছে ওই দু’জনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন।
এই অভিযোগ ‘মিথ্যা’ ও ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি করে ওই মহিলা-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে তাঁদের দোকানে হামলার অভিযোগ দায়ের করেছেন আরশাদ হোসেন। পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষের অভিযোগই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত বছরই তিন জন মহিলাকে (এক জন অন্তঃসত্ত্বা) প্রকাশ্যে রামপুরহাট পুরভবনের সামনে কানধরে ওঠবোস করিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন উপ-পুরপ্রধান আব্বাস হোসেন। এ বার শ্লীলতাহানির অভিযোগকে সামনে রেখে মাঠে নেমে পড়েছে যুব কংগ্রেস। উপ-পুরপ্রধান ও তাঁর দাদাকে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবিতে বুধবার দুপুরে আধঘণ্টার জন্য রামপুরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্র হিসাবে পরিচিত, ব্যস্ততম পাঁচমাথা মোড় অবরোধ করেন যুব কংগ্রেস কর্মীরা। পরে রামপুরহাটের এসডিপিও-র কাছেও এই দাবি তোলা হয় যুব কংগ্রেসের তরফে।
অভিযোগকারিণী মহিলার ছেলে এ দিন দাবি করেছেন, “ওয়ার্ডে সরকারি গম বিলির স্লিপ উপ-পুরপ্রধানের দাদার দোকান থেকে মঙ্গলবার বিলি করা হচ্ছিল। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। আমার মা গম বিলির স্লিপ চাইতে গেলে আরশাদ হোসেন গালিগালাজ করেন। প্রতিবাদ করায় আব্বাস ও আরশাদ হোসেন মায়ের শ্লীলতাহানি করেন। মা নর্দমায় পড়ে যায়। এর পরে মাকে কিল-চড়ও মারা হয়। মাকে রাতে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করাই।”
উপ-পুরপ্রধান অবশ্য এ দিন বলেছেন, “ওয়ার্ডে বিলি করার জন্য ১৫ কুইন্টাল ১৯ কেজি গম পেয়েছিলাম। ৬ কেজি করে বিলি করার জন্য ওয়ার্ড কমিটির মাধ্যমে ৩০৬ জন দুঃস্থ মানুষকে স্লিপ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমি অন্য জায়গায় ছিলাম। ওই মহিলা ও তার সঙ্গীরা দাদার দোকানে এসে স্লিপ চান। দাদা ওঁদের বলেন, পরের সোমবার বা মঙ্গলবার স্লিপ দেওয়া হবে। ওঁরা তা না শুনে ঝগড়া বাঁধান। পরে দলবল ডেকে দাদার দোকানে হামলা চালান।” আব্বাস হোসেনের দাবি, নিজেদের ‘দোষ’ আড়াল করে তাঁর ও তাঁর দাদাকে ‘বদনাম’ করতে শ্লীলতাহানির ‘মিথ্যা’ অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। যুব কংগ্রেসের অবরোধ সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, “এ সব জঘন্য রাজনীতি! সত্যিই যদি আমি বা আমার দাদা অপরাধী হই, তা হলে পুলিশ প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে যা সাজা দেবে, মাথা পেতে নেব।” |
|
|
|
|
|