|
|
|
|
লটারি নয়, পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির পরীক্ষা নিল স্কুল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মঙ্গলকোট |
পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠল বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানার বাজার বনকাপাশি সারদা স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। জেলার মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শক আব্দুল হাই এ ধরনের ভর্তির পরীক্ষা ‘অবৈধ’ বলে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “ওই স্কুল কর্তৃপক্ষকে পরীক্ষা বাতিল করতে হবে। সরকারি নিয়মে ভর্তি করতে হবে।” এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠাবেন বলে জানান তিনি।
রাজ্য সরকার প্রতিটি স্কুলকে নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছিল, লটারির মাধ্যমে পড়ুয়াদের ভর্তি করতে হবে। এই নিয়ম চালুর পরে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে লটারি প্রক্রিয়া চলাকালীন অশান্তি হয়েছে। মুর্শিদাবাদ ও পশ্চিম মেদিনীপুরে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। পরে অবশ্য সেই প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেওয়া হয়। তার পরেও মঙ্গলকোটের ওই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির পরীক্ষা কেন নেওয়া হল, সেই প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক পীযূষকুমার দাঁ-র দাবি, “অভিভাবকদের চাপেই আমরা এই পরীক্ষা নিয়েছি। তবে এ ব্যাপারে পরিচালন সমিতির অনুমোদনও ছিল।”
অভিভাবকেরা জানান, পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য স্কুল থেকে ১০ টাকা দিয়ে ফর্ম কিনতে হয়েছে। বুধবার ৫০ নম্বরের পরীক্ষাও নেওয়া হয়। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪০০ জন পরীক্ষার্থী ফর্ম কিনেছিল। তাদের মধ্যে বুধবার ১৯৮ জন পরীক্ষা দিয়েছে। মঙ্গলকোটেরই অন্য একটি স্কুলের পরিচালন সমিতির সদস্য ননীচূড়া ঘোষের অভিযোগ, “সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পরীক্ষার নাম করে পড়ুয়াদের কাছ থেকে কোন টাকা নেওয়া যাবে না, অথচ ওই স্কুল সরকারের নির্দেশিকা মানেনি। আমরা এ ব্যাপারে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেছি।” যদিও তৃণমূল পরিচালিত বাজার বনকাপাশি সারদা স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সম্পাদক বিশ্বজিৎ দে-র দাবি, “সরকারের নির্দেশিকা আসার আগে ফর্ম বিলি হয়ে গিয়েছিল।” সহকারী স্কুল পরিদর্শক (কাটোয়া) গোলাম মর্তুজা বলেন, “পরীক্ষা ও টাকা নেওয়া যাবে না এই মর্মে নির্দেশিকা সমস্ত স্কুলে পাঠানো হয়েছিল।”
পরীক্ষা বাতিল করা হবে কি না, সে প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক বলেন, “আমাদের স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে আসন সংখ্যা ২৫০টি। সেখানে পরীক্ষা দিয়েছে ১৯৮ জন। সব ছাত্রকেই ভর্তি নেব। নিজেদের সুবিধার্থে পরীক্ষা নিয়েছিলাম। ফল প্রকাশ করব না। তা হলেই আর কোনও সমস্যা থাকবে না।” |
|
|
|
|
|