|
|
|
|
ভর্তি নিয়ে ক্ষোভ, পুরসভার স্কুলে ভাঙচুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
সরকারি ও সরকার অনুমোদিত স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে গণ্ডগোল ঘটেই চলেছে।
বুধবার বর্ধমান শহরে পৌর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ভাঙচুর চালায় কিছু বহিরাগত লোকজন। স্কুলের পরিচালন সমিতির সদস্য মহম্মদ ইজাজের অভিযোগ, সিপিএমের কিছু সমর্থক মদ্যপ অবস্থায় এসে স্কুলে হাঙ্গামা চালিয়েছে। ভেঙে দেওয়া হয় নোটিস বোর্ড। তছনছ করা হয় অফিসের টেবিল-চেয়ার। পুলিশ এলে তারা পালিয়ে যায়। |
|
তছনছ জিনিসপত্র। বর্ধমান পৌর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে তোলা নিজস্ব চিত্র। |
সিপিএমের বর্ধমান শহর জোনাল সম্পাদক তাপস সরকার অবশ্য দলের কারও জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে বলেন, “অভিভাবকদের সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের গোলমালের জেরে এই ঘটনা। এর মধ্যে আমাদের অনর্থক জড়ানো হচ্ছে। আমাদের কোনও নেতা বা সমর্থক এতে মদত দেননি।” জেলা পুলিশের ডিএসপি (সদর) অম্লানকুসুম ঘোষ বলেন, “স্কুলে ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে হামলাকারীরা তার আগেই পালায়। তদন্ত চলছে।” কলকাতার যাদবপুর বিদ্যাপীঠের মতো বহু স্কুলেই পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে গণ্ডগোল হচ্ছে। বর্ধমানের এই স্কুলটিতেও প্রায়ই গোলমাল বাধছিল। রাজ্য সরকারের নির্দেশে শহরের সব স্কুল যখন নিজেদের চত্বরে অবস্থিত প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের ভর্তি করছে, এই স্কুল তা করেনি। কর্তৃপক্ষের যুক্তি , সঙ্গের প্রাথমিক স্কুলটি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়। সেখানে পঞ্চম শ্রেণি আছে। দরকার হলে সেখানেই ছাত্রীদের ভর্তি করানো হোক। জেলা স্কুলসমূহের পরিদর্শক আব্দুল হাই তাদের লটারি করে পঞ্চম শ্রেণিতে ছাত্রী ভর্তি না করার নির্দেশ দিলেও তা মানা হয়নি। অভিভাবকদের একাংশের দাবি, কর্তৃপক্ষের জেদের জন্যই এ দিনের গোলমাল। একই চত্বরে থাকা প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রীদের কেন পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া হয়নি, তা জানতে চাওয়া হলে প্রধান শিক্ষিকা স্বপ্না সিংহ ফোন কেটে দেন। |
|
|
|
|
|