এক্স-রে রুমের দরজা আষ্টেপৃষ্টে বন্ধ। দরজার গায়ে হাতে লেখা নোটিসে স্পষ্ট লেখা--হাসপাতালে এক্স-রে ফিল্ম শেষ। ফলে কোন রকম এক্স-রে হচ্ছে না। কবে ফিল্ম আসবে, কবে আবার শুরু হবে এক্স-রে? স্বাস্থ্য দফতরের কাছে এ প্রশ্নের অবশ্য কোনও উত্তর নেই। |
করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নোটিস। নিজস্ব চিত্র। |
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে শুধু করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালই নয়, জেলার বেশির ভাগ হাসপাতালেই একই চেহারা। একই নোটিস ঝুলিয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে এক্স-রে। দূরদুরান্ত থেকে আসা রোগীদের নোটিসের খবর জানা নেই। তাঁরা আসছেন এবং ভাঙা মন নিয়েই ফিরে যাচ্ছেন। হাসপাতালের এক্স-রে জরুরি পরিষেবার অন্তর্গত। কিন্তু ফিল্ম না থাকলে তা করা যাবে কী করে? অতএব রোগী পিরে যাওয়া চলছেই। নদিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অমিত হালদার বলেন, ‘‘শুধু আমাদের জেলা নয়, গোটা রাজ্য জুড়েই চলছে এ সমস্যা। যে সংস্থা এই এক্স-রে ফিল্ম সরবরাহ করে তারা ফিল্ম সরবরাহ করতে পারছে না। বিষয়টা আমরা স্বাস্থ্য ভবনেও জানিয়েছি।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দায় এখানেই শেষ।
করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালের সুপার বিধুভূষন মাহাতো বলেন, ‘‘এই হাসপাতালে প্রতি দিন গড়ে ২০ থেকে ২৫ জন রোগী আসেন এক্স রে করাতে। এখন তাঁদের পিরিয়ে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। ২১ ডিসেম্বর থেকে এ অবস্থাই চলছে।’’ চেহারাটা প্রায় এক বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে। সুপার তুষার বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমাদের হাসপাতাল শেষ এক্স-রে হয়েছে গত ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে। তারপর থেকে অবশা একই।’’ বেথুয়াডহরী গ্রামীণ হাসপাতালের সুপার জীবেশচন্দ্র বাইন বলেন, ‘‘গত তিন মাস ধরে এক্স-রে নিয়ে আমরা সমস্যায় আছি।’’ এখানেই সেষ নয়, তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালের অবস্থাও তথৈবচ। তেহট্টের অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তথা তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মণ্ডল বলেন, ‘‘এক্স-রে নিয়ে আমরাও খুব সমস্যায় আছি। দীর্ঘদিন ধরেই এক্স-রে করার বড় ফিল্মটার সরবরাহ বন্ধ হয়েছে।’’ |