বর্ষবরণের রেশ এখনও টাটকা। উৎসবের সেই ঘোর গায়ে নিয়েই বছরের প্রথম বরফের অপেক্ষায় দার্জিলিং। সোমবার সকাল থেকে সারাদিনই তাপমাত্রা ছিল ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। সেই সঙ্গে চলেছে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। তা বরফ পড়ার সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে বলে আবহওয়াবিদদের ধারণা। আর এই সম্ভাবনায় ভর করেই এ দিনও বহু পর্যটক, এমনকী সমতলের বাসিন্দারাও পাহাড়ে ঢুঁ মেরে যান। পাহাড় জুড়ে চা-পর্যটন উৎসবের আমেজ কাটতে না কাটতেই সোমবারই আবার দার্জিলিঙের ভানুভবনে শুরু হয়েছে বইমেলা। ঠান্ডার চাদর মোড়া পাহাড় তাই এখন রীতিমতো জমজমাট। |
বছরের শুরুতেই দার্জিলিং লাগোয়া সান্দাকফু-ফালুটে বরফ পড়ায় বহু মানুষ সকাল থেকে ওই এলাকাগুলিতে ভিড় করতে থাকেন। সান্দাকফু যাওয়ার রাস্তায় গাড়ির সারি ছিল চোখে পড়ার মতো। পাহাড়ের বাসিন্দারা এখন শুধু দার্জিলিঙে তুষারপাতের অপেক্ষায়। সরকারি, বেসরকারি সব দফতরেই শোনা গিয়েছে এই আলোচনা। সমতলের স্কুল-কলেজে হাজিরা মোটামুটি ঠিক থাকলেও পাহাড়ে তা ছিল তুলনায় কম। দুপুরের পর থেকে পাহাড়ের রাস্তাঘাট, বাজার অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যায়। বিকেলের পরেও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়েছে। শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াং, দার্জিলিং, কালিম্পং যাওয়ার রাস্তার ধারে আগুন পোহাতে দেখা গিয়েছে বাসিন্দাদের।
আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, সন্ধের পরে কনকনে ঠান্ডার সঙ্গে কুয়াশা থাকবে অন্তত আগামী দু’দিন। হিমালয় লাগোয়া উত্তরবঙ্গের আকাশ থেকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ক্রমশ পুর্ব দিকে সরতে শুরু করেছে। রাতের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে গত দু’দিনেও দিনের তাপমাত্রা যথেষ্টই কমেছে। সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকে রবিবার বছরের প্রথম দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সোমবার একলাফে ৬ ডিগ্রি কমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দাড়িয়েছে ৮ ডিগ্রি। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, “৪৮ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যাবে। দিনের তাপমাত্রাও কমবে। তবে উত্তরের আকাশে থাকা পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ক্রমশ সরতে যাওয়ার কারণেই এই পরিবর্তন। আরেকটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা উত্তরবঙ্গের দিকে আসতে শুরু করেছে।” |