| ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে জলপাইগুড়ি শহরের আবর্জনা সাফাইয়ের কাজ বন্ধের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। সোমবার শহরের একাংশ থেকে আবর্জনা অপসারণ করতে পারেনি পুরসভা। আজ মঙ্গলবার থেকে শহরের কোনও এলাকা থেকে আবর্জনা, জঞ্জাল সরানোর কাজ করা যাবে না বলে পুরসভা জানিয়ে দিয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষের হিসেব মতো শহরের ২৫টি ওয়ার্ড থেকে অন্ততপক্ষে ৬০ টন জঞ্জাল সংগ্রহ করা হয়। এক দিন জঞ্জাল সংগ্রহের কাজ বন্ধ হয়ে থাকলে শহরের প্রতিটি রাস্তার মোড়ে জঞ্জালের স্তূপ জমে যাবে। আজ, মঙ্গলবার থেকে শহরের কি পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে তা ভেবেই উদ্বিগ্ন পুর কর্তৃপক্ষ। ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে টানাপোড়েনের জেরেই নতুন বছরের শুরুতেই বন্ধের মুখে পড়েছে শহরের আবর্জনা অপসারণের প্রক্রিয়া। শহর লাগোয়া পাঙ্গা এলাকায় পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড। ডাম্পিং গ্রাউন্ড থাকায় দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ তুলে দু’বছরের বেশি সময় ধরে পাঙ্গার বাসিন্দারা আন্দোলন চালাচ্ছে। এ সময়ে অন্তত আট বার পুরসভার ময়লা বোঝাই ট্রাক ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ঢুকতে দেয়নি এলাকাবাসীরা। প্রতিবারই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সাময়িক সমাধান করা হয়ে এসেছে। প্রশাসনের তরফে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির জন্য পুরসভাকে অন্যত্র জমি দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়ে সমস্যার সাময়িক ইতি টানা হয়। কিন্তু গত বছর পুজোর আগে ফের সমস্যা হয়। পুরসভা-প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পাঙ্গার বাসিন্দাদের কাছে সময়সীমা নেওয়া হয়। এই চূড়ান্ত সময়সীমাও শেষ হয়েছে। সোমবার পুরসভার গাড়িকে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আবর্জনা বোঝাই ট্রাক ফিরে এসেছে জলপাইগুড়ি শহরে। পুরসভার পক্ষ থেকে সমস্যার কথা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতে আবর্জনা ফেলার অন্য জায়গা না থাকায় পুরসভার পক্ষে শহরের বাড়ি বাড়ি থেকে বা রাস্তার পাশ থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করার কাজ করা সম্ভব হবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “আমাদের কাছে অন্য কোনো উপায় নেই। প্রশাসনের থেকে এখনো ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির জমি পাওয়া যায়নি। পাঙ্গার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ময়লা ফেলায় বাধা দেওয়া শুরু হয়েছে। ময়লা সংগ্রহ করলে তা ফেলার উপায় নেই, তাই ময়লা সংগ্রহ করার কাজ মঙ্গলবার থেকে করা সম্ভব হবে না বলে মনে হচ্ছে।” সেপ্টেম্বরে প্রশাসনের তরফে শহর লাগোয়া মন্ডলঘাটে ৩ একর জমি ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির জন্য দেওয়া হবে বলে পুরসভাকে জানানো হয়। কিন্তু সেই জমি নিয়েও পাকাপাকি সিদ্ধান্ত হয়নি। গত নভেম্বরে জরুরি কাগজও পাঠানো হয় রাজ্যের ভূমি সংস্কার দফতরে। ভূমি দফতর থেকে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি। |
