নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ঋণের ফাঁদ থেকে কৃষকদের রেহাই দিতে শস্যবিমায় ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। পাশাপাশি, চলতি আর্থিক বছরের মধ্যে রাজ্যে নতুন ১৫ লক্ষ চাষিকে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের আওতায় নিয়ে আসার জন্য মাসে মাসে ব্লক-স্তরে প্রচার-অভিযান চালানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য কৃষি দফতর।
রাজ্যের কৃষি দফতরের সচিব হৃদেশ মোহন জানিয়েছেন, জাতীয় শস্যবিমা প্রকল্পে আলুর ক্ষেত্রে চলতি বছরে কৃষককে শতকরা ১১.৮৫ হারে প্রিমিয়াম দিতে হচ্ছে। যা গত আর্থিক বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এর কিছুটা কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার আগেই ভর্তুকি দিত। চলতি আর্থিক বছরে ঋণের যে পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে, তার পুরোটাই রাজ্য সরকার ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত ৬০ কোটি টাকা খরচ হবে। এর ফলে চাষিদের প্রিমিয়ামের পুরোটা (১১.৮৫ শতাংশ) দিতে হবে না। কেন্দ্রীয় সরকার দেবে ০.৫৯% এবং রাজ্য দেবে ৬.৪৫%। বাকি ৪.৮৫ শতাংশ দেবেন চাষিরা।
চাল, ডাল-সহ বাকি শস্যের ক্ষেত্রে বিমায় প্রিমিয়াম ঋণের ২ শতাংশ। গত বার পর্যন্ত এর ১.৮ শতাংশই দিতে হত চাষিকে। এ বার থেকে এর পুরোটাই রাজ্য সরকার দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হৃদেশ মোহন বলছেন, “চাষিরা যাতে বিভিন্ন দুর্যোগের মুখোমুখি হলেও বিমার সাহায্যে সেই ক্ষতি সামাল দিয়ে দিতে পারেন, সে জন্যই রাজ্য সরকার এই ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
বিমার আওতায় সহজেই যাতে রাজ্যের চাষিরা আসতে পারেন, তার জন্য তাঁদের আরও বেশি করে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের আওতায় আনার জন্যও প্রচার শুরু করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার চলতি আর্থিক বছরের মধ্যেই নতুন করে অন্তত ১৫ লক্ষ চাষিকে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। হৃদেশ মোহন জানিয়েছেন, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ১৫ দিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের প্রচার শিবির চালিয়েছে রাজ্য কৃষি দফতর। তাতে নতুন করে প্রায় ৩.৭৬ লক্ষ কৃষক এই কার্ডের আওতায় এসেছেন। |