নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কোল ইন্ডিয়া-র কয়লার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের কাছে প্রতিবাদ জানাল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সোমবার রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী শ্রীপ্রকাশ জয়সোয়াল এবং কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী সুশীল শিন্ডেকে। চিঠির বক্তব্য: এ ভাবে কয়লার মূল্যবৃদ্ধি নিঃসন্দেহে জনবিরোধী পদক্ষেপ।
বিদ্যুৎমন্ত্রী এ দিন মহাকরণে জানান, গত ফেব্রুয়ারিতেই কোল ইন্ডিয়া কয়লার দাম বাড়িয়েছে। দশ মাসের মধ্যে
|
মণীশ গুপ্ত |
আবার দাম বাড়ানো হচ্ছে। এতে বিদ্যুৎ ছাড়াও ছোট-মাঝারি প্রতিটি শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মণীশবাবুর অভিযোগ। তাঁর দাবি, “শুধু আমাদের সরকার নয়। অন্যান্য রাজ্যও কোল ইন্ডিয়ার এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিচ্ছে।” উল্লেখ্য, কোল ইন্ডিয়া-র বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তাতে রাজ্য সরকারকেও যুক্ত করা হয়েছে।
আগে এক-এক ধরনের কয়লা থেকে প্রাপ্ত মোট ব্যবহারিক (শিল্পের কাজে সহায়ক) তাপের ভিত্তিতে সেই কয়লার মান ও দাম ঠিক করত কোল ইন্ডিয়া। এই পদ্ধতির বদলে এখন কয়লার দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে মোট উৎপাদিত তাপের পরিমাণ অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক পরিভাষায় যাকে গ্রস ক্যালোরিফিক ভ্যালু (জিসিভি) বলা হয়। এই ব্যবস্থায় কয়লায় মিশে থাকা ছাই বা আর্দ্রতার কারণে নষ্ট হওয়া তাপের দাম বাদ দেওয়া হয় না। মণীশবাবুর মতে, কয়লার মূল্য নির্ধারণের নতুন ব্যবস্থাটি বেশ অস্বচ্ছ। মণীশবাবুর যুক্তি, কোল ইন্ডিয়া-র প্রতি কেজি কয়লায় যেখানে ৪০% ছাই থাকে, সেখানে এই আন্তর্জাতিক পদ্ধতিটি এ দেশের ক্ষেত্রে একেবারেই অযৌক্তিক।
এ দিকে বিদ্যুৎ-শিল্পমহল সূত্রের খবর: কোল ইন্ডিয়া এ দিন সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দিয়েছে, নতুন হারে তাদের কয়লার দাম কত হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, সংস্থার ১৭টি বিভিন্ন মানের কয়লার দাম বাড়ছে। এক বিদ্যুৎ-কর্তা জানিয়েছেন, প্রথম শ্রেণির কয়লারই দাম বাড়ছে প্রায় ২৭%। এর উপরে অন্যান্য কর চাপবে। ফলে কয়লার দাম অনেকটাই বাড়ছে বলে তাঁদের অভিমত। |