অপরিকল্পিত ভাবে নির্মাণ ও প্রয়োজনের তুলনায় সংখ্যায় কম শৌচাগার থাকার কারণে প্রতিদিনই সমস্যায় পড়ছেন মানবাজারের ইন্দকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা ও পথচারীরা। মানবাজার পঞ্চায়েত প্রধান অনুরূপা সেন বলেন, “যেখানে অনেক বেশি মানুষ যাতায়াত করেন এ রকম কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় শৌচাগার নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় জায়গা না মেলায় সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি।”
মানবাজার শহরে ঢোকার মুখে পুরুলিয়া বা বাঁকুড়া থেকে আসার প্রথম স্টপেজ ইন্দকুড়ি। পোদ্দারপাড়া হয়ে গাড়িগুলি বাসস্ট্যান্ডে ঢোকে। ইন্দকুড়িতে কয়েক বছর আগে শৌচাগার নির্মাণ হয়েছিল। বনদফতরের অফিসের দেওয়াল ঘেঁষে ওই শৌচাগার নির্মাণ হওয়ায় আপত্তি ওঠে। বনদফতরের কর্তাদের আপত্তির কারণ, অফিস ঢোকার মুখে শৌচাগার নির্মাণ হলে পরিবেশ দূষিত হবে। এর ফলে নির্মাণের পর থেকে তা বন্ধ রয়েছে।
পোদ্দারপাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বলেন, “বাড়ির সামনে গাড়ি দাঁড়ায়। আপত্তি জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। শৌচাগার না থাকায় যাত্রীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ির সামনে নোংরা করেন।” বাসস্ট্যান্ডে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য শৌচাগার থাকলেও জলের ব্যবস্থা নেই। এর ফলে নোংরা জমে গন্ধ ছড়াচ্ছে। পুরুলিয়া-বাঁকুড়াগামী বাসগুলি বেরনোর সময়ে পোস্ট অফিসের মোড়ে যাত্রী তোলার জন্য বাসগুলি দাঁড়ায়। সারাদিন ভিড় লেগে থাকে। এই রাস্তা দিয়ে তিনটি স্কুলের পড়ুয়ারা যাতায়াত করে। হাসপাতাল ও অন্যান্য কাজে যেতে গেলেও বাসিন্দারা এই রাস্তা ব্যবহার করেন। শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিৎ সিংহ হাঁসদা বলেন, “নোটিস বোর্ড টাঙিয়ে কোনও লাভ হয়নি।” পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, “পুরনো বাসস্ট্যান্ডে একঠি শৌচাগার আছে। নিয়মিত পরিষ্কার রাখা হয়। শহরের জনবহুল স্থানে শৌচাগার নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। উপযুক্ত জায়গা না মেলার কারণে এমনটা হয়েছে। শৌচাগার নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিল হয়নি।” |