|
|
|
|
মহিষাদলে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
হাইকোর্টের নির্দেশে অবৈধ দোকান ভাঙতে গিয়ে জনতার সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধল পুলিশের। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের মহিষাদল থানা এলাকার বাবুরহাটে। হাইকোর্টের রায় মেনে এ দিন আটটি দোকান ও একটি বাড়ি ভাঙতে আসে পুলিশ, পূর্ত দফতর। প্রতিবাদে স্থানীয় বাজার কমিটি পথ অবরোধ করলে পুলিশ লাঠি চালায়। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে দু’রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছোড়ে পুলিশ। ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই পুলিশকর্মী-সহ ৭ জন। |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবুরহাটে ওই রাস্তার ধারে পূর্ত দফতরের জায়গায় অবৈধ ভাবে বাজার গড়ে উঠেছিল। স্থানীয় গোপাল সামন্তের বাড়ির সামনেও একই ভাবে দোকানঘর গড়ে ওঠায় বন্ধ হয়ে যায় আসা-যাওয়ার রাস্তা। তখন আদালতের দ্বারস্থ হন গোপালবাবু। সম্প্রতি হাইকোর্ট গোপালবাবুর পক্ষে রায় দেওয়ায় এ দিন ওই ৯টি অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে আসে পুলিশ। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে বাজার কমিটির লোকেরা। দেড় ঘণ্টারও অধিক সময় পথ অবরুদ্ধ থাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মহিষাদল থানার পুলিশ ও র্যাফ। পুলিশের দুটি গাড়িতে উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর চালালে পাল্টা লাঠি চালায় পুলিশ। বাজার কমিটির লোকজন ছাড়াও পথচারীরা জখম হন। আহত সুশান্ত কুমার দাস বলেন, “আমি বাজার করতে এসেছিলাম। আচমকাই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বেগতিক বুঝে বাড়ি ফেরার সময় পুলিশের লাঠির ঘায়ে পিঠে ও মাথায় লাগে।” আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় মহিষাদল ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এরপর জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ফাটানো হয় দু’রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল। পরে ওই দোকান ও বাড়িটি ভেঙে দেওয়া হয়। বিকেলে তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী ঘটনাস্থলে যান। আহতদের সঙ্গে দেখা করতেও যান তিনি। সন্ধ্যায় কালো ব্যাজ পরে মিছিল করেন শতাধিক বাজার কমিটির সদস্য। ঘটনার প্রতিবাদে আজ, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ওই এলাকার সমস্ত দোকানপাট বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বাজার কমিটি। হলদিয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অমিতাভ মাইতি বলেন, “আদালতের নির্দেশে দোকান ভাঙতে গিয়েছিলাম। জনতা বাধা দেওয়ায় মৃদু লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে হয়।” |
|
|
|
|
|