বুনো হাতির হানা চলতে থাকায় মাথায় হাত পড়েছে ডুয়ার্সের ছোট চৌকিরবস এলাকার আলু চাষিদের। প্রতি রাতে বক্সা ব্যঘ্র প্রকল্পে ছিপড়া জঙ্গল থেকে হাতির পাল ওই গ্রামে ঢুকে আলু ক্ষেত লন্ডভন্ড করে দেয়। গত দু’সপ্তাহ শুধু ছোট চৌকিরবস গ্রামে অন্তত ৪০ বিঘা আলু চাষের ক্ষতি করেছে বুনো হাতির পাল। শুক্রবার রাতেও একদল বুনো হাতি ছিপড়া জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ছোট চৌকিরবস, বড় চৌকিরবস ও দাস পাড়া গ্রামে হানা দিয়ে ৮ বিঘা আলু, ২ বিঘা কলা বাগান ও ২৮টি সুপুরি গাছ ভেঙ্গে ব্যপক ক্ষতি করেছে। এ ছাড়া বক্সা প্রকল্পের জঙ্গল সংলগ্ন পানবাড়ি, দামসিবাদ, ধওলাবস্তি, উত্তর রামপুর সহ প্রতিটি গ্রামে লাগাতার হাতির হানা চলতে থাকায় বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। ছোট চৌকিরবস গ্রামের আলু চাষি অজিত দেবনাথ, পরিতোষ বিশ্বাসরা বলেন, “গত বছর আলু চাষ করে দাম না পাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েন গোটা এলাকার চাষিরা। এ বছর লাভের আশায় আলু চাষ করেছি। কিন্তু প্রতি রাতে বুনো হাতির পাল যেভাবে আলু চাষে ক্ষতি করেছে তাতে লাভের মুখ দেখা তো দূরের কথা মূলধন ঘরে তোলা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।” তাঁরা জানান, এবার সার, কীটনাশক ও বীজের দাম দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। ফলে আলু চাষে খরচও বেড়েছে অনেক। বুনো হাতির পালের হানায় জমির অনেকটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে হাতির হানা না রুখতে পারলে লাভ তো দূরের কথা লোকসানের মুখ দেখতে হবে চাষিদের। সমস্যা মেটাতে বন দফতরকে উদ্যোগী হওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আলু খেতেই হাতির পাল ছোট চৌকিরবস গ্রামে হানা দিচ্ছে। বন কর্তারা দাবি করেছেন, হাতির হানা ঠেকাতে বন দফতর থেকে রাতে টহলদারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই টদলদারির কাজ শুরু করা হবে। বন দফতরের সাউথ রায়ডাক রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার উৎপল দত্ত বলেন, “ওই গ্রামে হাতির হানা ঠেকাতে গ্রামের চারদিক দিয়ে বিদ্যুতের বেড়া দেওয়া হয়। সেই বেড়া গ্রামবাসীরা রক্ষা করতে পারেননি। বেড়া মেরামতে করবার উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।” |