উদ্দাম উল্লাসে নববর্ষ উৎসব পালনের ধাক্কায় অসম-মেঘালয়ে ঝরে গেল ১৫টি তাজা প্রাণ। হুল্লোড়বাজি, বেপরোয়া গাড়িচালনা, ফুর্তিতে গুলি ছোড়াকিছুই বাদ যায়নি। হাসপাতালে ভর্তি অন্তত দেড়শোজন। মৃত এবং জখমদের অধিকাংশই তরুণ-তরুণী। পুলিশ জানায়, বেশির ভাগ দুর্ঘটনারই কারণ বেহিসাবি মদ্যপান। উৎসব পালন ঘিরে এমন অজস্র অবাঞ্ছিত ঘটনায় গভীর উদ্বিগ্ন এক দিকে পুলিশ, অন্য সামাজিক সংগঠনের কর্তাব্যক্তিরা।
আজ বেলা একটা নাগাদ অসমে নগাঁও জেলার পুরানিগুদাম এলাকায় ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কে মেঘালয়ের একটি ট্রাকের সঙ্গে টাটা ম্যাজিক ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক-সহ ছয় যাত্রীর মৃত্যু ঘটেছে। জখম ৯ জন। মৃতদের মধ্যে আছেন একজন গর্ভবতী মহিলাও। যাত্রিবাহী গাড়িটি নগাঁও থেরে জখলাবন্ধা যাচ্ছিল। ট্রাকচালককে আটক করেছে পুলিশ। এ দিকে, বর্ষবরণের রাতে যোরহাটে বাইক ও স্কুটারে দুর্ঘটনায় চারজন মারা যান। আজ বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় আরও একজনের। যোরহাট মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ১৫ জন। ডিব্রুগড় মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ১১ জন।
মেঘালয়ের পশ্চিম খাসি পাহাড়ে নববর্ষের সকালে চলন্ত ট্রাক,নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথের পাশে বসে থাকা দুই ব্যক্তিকে পিষে দেয়। মদ্যপ অবস্থায় চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, কিরডেমলা, উইলিয়ামনগর, ডামরা, মাওলাই, নংমিংসং, দোকোপগ্রে, বালাপালা, সোরিংখাম এলাকা মিলিয়ে দুর্ঘটনায় জখমের সংখ্যা প্রায় ১০। বর্ষবরণ ও নববর্ষ মিলিয়ে কেবল গুয়াহাটিতেই জখম শতাধিক। মারা গিয়েছেন দু’জন। এর মধ্যে, অধিক মদ্যপানের ফলে, এক যুবক-যুবতী হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছেন। বর্ষবরণের রাতে, কেবল গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৮৪ জন জখমকে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে দু’জনকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। বর্ষবরণের এক রাতেই, শহরে ৫৫৫টি ট্র্যাফিক নিয়মভঙ্গের অভিযোগ নথিবদ্ধ হয়েছে। জরিমানা বাবদ পুলিশ, এক রাতে ৯৬ হাজার টাকা আদায় করেছে। |